ফলের জুসে বাড়ে ‘অকাল মৃত্যু’, একি বলছে গবেষণা
Odd বাংলা ডেস্ক: ফলের জুস খাচ্ছেন। শরীরের উপকারের জন্য। বিশেষ করে শরীরে চিনির মাত্রা কমাতে বিকল্প হিসেবে জুস খাচ্ছেন। কিন্তু, নতুন এক গবেষণা বলছে, ফলের জুসই আপনার স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনছে। এমনকি আপনাকে দ্রুত মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যেমনটি কোমল পানীয় ও সোডা মানুষের অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইনের খবরে ওই গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যারা চিনিযুক্ত পানীয় পান করেন, তাদের চেয়েও ফলের জুস পানকারীরা দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান।
মার্কিন এই গবেষকদল প্রথমবারের মতো, তুলনা করে দেখেছেন ফলের জুসের মধ্যে কোমল পানীয় এবং সোডার মতোই শতভাগ চিনি রয়েছে। তারা ঠিক চিনিযুক্ত পানীয়ের মধ্যে যেসব উপাদান পেয়েছেন, ফলের জুসের মধ্যেও একই উপাদান সমান মাত্রায় পেয়েছেন।
অবশ্য এই গবেষক দল বলছে, এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না। এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
অবশ্য এই গবেষণার বিষয়ে একদল বিশেষজ্ঞ বলছেন, মার্কিন গবেষকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সামনে এনেছেন ঠিকই। তবে যারা দিনে ১৫০ মিলি ফলের জুস পান করেন, তাদের ক্ষেত্রে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
নতুন এই গবেষণা আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (জেএএমএ) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি ১৩ হাজার ৪৪০ জনের ওপর করা হয়েছে, যারা চিনিযুক্ত পানীয় এবং শতভাগ ফলের জুস পান করেন।
গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যারা কোমল পানীয় ও সোডা খান, তাদের দ্রুত মৃত্যুর হার ১১ শতাংশ। আর যারা শতভাগ ফলের জুস পান করেন, তাদের দ্রুত মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার ইমোরি ইউনিভার্সিটি ও নিউইয়র্কের কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষকদল বলছে, ‘যারা অতিমাত্রায় চিনিযুক্ত পানীয় ও ফলের জুস পান করেন, তারা দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান। কারণ, শতভাগ ফলের মধ্যেও এসএসবিএস (সুগার-সুইটেনড বেভারেজ) একই থাকে।’
যদিও পানীয়ের চেয়ে ফলের জুসে কিছু ভিটামিন এবং রোগ প্রতিরোধী উপাদান থাকে, যা পানীয়ের মধ্যে নেই।
জুসের পাশাপাশি গবেষকরা দ্রুত মৃত্যুর জন্য আরও কিছু কারণকে সামনে এনেছেন। এগুলোর মধ্যে অবসাদ অন্যতম। ফলের শর্করা রক্তের লিপিড মাত্রা ও রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। আর অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীরের ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ডায়াবেটিসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. গুন্তার খুনলে বলেন, ‘গবেষণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শরীরে চিনি কমানোর জন্য আমরা যারা ফলের জুস পান করে থাকি, তারাও এখন বুঝতে পারবেন- জুসেও একই রকম চিনি রয়েছে।’
Post a Comment