গে, লেসবিয়ান এবার ইতিহাস, পৃথিবীতে এখন বাড়ছে স্যাপিওসেক্সুয়ালদের পরিমান


লেসবিয়ান, স্ট্রেইট, বাইসেক্সুয়াল, অ্যাসেক্সুয়াল, প্যানসেক্সুয়াল প্রভৃতির বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এখন স্যাপিওসেক্সুয়াল। কিন্তু জানা দরকার কী এই স্যাপিওসেক্সুয়াল। ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে চলতি দশকের শুরু থেকেই মানুষ অনলাইনে নিজেদের যৌনতা নিয়ে কথা বলতে শুরু করে, এবং বিপরীতকামিতার পাশাপাশি নিজেদেরকে সমকামী, উভকামী বা যৌনলক্ষণহীন হিসেবেও পরিচয় দিতে থাকে। কিন্তু এমন অনেকেও ছিল, যারা কেবল শারীরিক যৌনতার ভিত্তিতেই নিজেদের পরিচয়কে সংজ্ঞায়িত করতে চায়নি। 

বিপরীত লিঙ্গের কারো প্রতি ভালোলাগার অনুভূতি, তারপর সেই ভালোলাগা ভালোবাসায় রূপান্তরিত হওয়া, এবং চিরকাল তাকে জের করে পেতে চাওয়ার নামই হলো প্রেম। এই প্রেমের প্রথম পদক্ষেপে কোন বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে? অধিকাংশ মানুষই বলবেন চেহারা বা বাহ্যিক সৌন্দর্যের কথা। অনেকে ভোট দেবেন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের পক্ষেও। এবং কেউ কেউ অর্থনৈতিক অবস্থাকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকবেন।
এ কথা সত্য যে আজকের দিনে স্রেফ প্রথম দেখাতেই কারো প্রেমে পড়ে গিয়ে তার সাথে সারাজীবন কাটাবার সংকল্প করা নেহাতই বোকামি। তবে সব কিছুরই তো একটি শুরু আছে। আপনি কারো সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে, তার প্রতি প্রাথমিক ভালোলাগাটা তো আপনার মনে জন্মাতেই হবে। আর সেজন্যই বাহ্যিক সৌন্দর্য, শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব কিংবা অর্থনৈতিক অবস্থার এত গুরুত্ব। তবে কিছু কিছু মানুষ আছে, যাদের কাছে এই বিষয়গুলো গুরুত্বহীন। তারা বরং বিপরীত লিঙ্গের অন্য কোনো বৈশিষ্ট্যের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। সেটি হলো বুদ্ধিমত্তা। তাদের মস্তিষ্কে প্রেম ও যৌনতার অনুভূতি আবর্তিত হয় বুদ্ধিমত্তাকে কেন্দ্র করে। যে ব্যক্তি যত বেশি বুদ্ধিবৃত্তির অধিকারী, সে ব্যক্তির প্রতি তাদের মুগ্ধতা জন্মানোর প্রবণতাও তত বেশি।    
শরীর নয় মস্তিষ্কেই লুকিয়ে আছে স্যাপিওদের ভালোবাসা, Image Source: Google


কীভাবে উৎপত্তি স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটির?

বুঝতেই পারছেন, স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটি জনপ্রিয় আধুনিক পপ কালচার ট্রেন্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু কীভাবে জন্ম ঘটেছে ব্দটির? তা জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ২০০২ সালে, যখন প্রথম এ শব্দটি অনলাইনে ব্যবহার করেন wolfieboy নামের একজন লাইভ জার্নাল (একটি রাশিয়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) ব্যবহারকারী। তার ভাষ্যমতে, এ শব্দটি তিনি আবিষ্কার করেছিলেন ১৯৯৮ সালে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.