Odd বাংলা ডেস্ক: তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানী হিসেবে। পরে ঘটনাচক্রে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর ৪০ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযান রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অব ইন্ডিয়া’ বলা হয়।
পোখরান পারমানবিক বিস্ফোরণের যদি পুরোধা কেউ থেকে থাকে তাহলে সেটা আব্দুল কালাম। কিন্তু অনেকেরই এটা অজানা যে আব্দুল কালাম নিজে ক্ষেপনাস্ত্র বিশেষজ্ঞ হলেও তিনি কোনোদিন চাননি কারও মৃত্যু হোক যুদ্ধে বা ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার সময়। এটা DRDO-র প্রায় সবাই জানতেন। তাই পোখরানের যেখানে পারমানবিক বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেখানে আগে থেকে একটি দল গিয়ে জায়গাটা খতিয়ে দেখে। এবং কোনো পশু পাখি আছে কিনা সেটা ভালো করে খুঁজে দেখার চেষ্টা করে তাঁরা। তারপরেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
পোখরান বিস্ফোরণের পর অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে আব্দুল কালাম, Image Source: Google |
এমন কি সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী পর্যন্ত তাঁর এই ব্যাপারটিকে বেজায় ভয় পেতেন। তিনি মজা করে বলতেন কালাম আমাকে বলেছেন একটা ছাগলও যাতে না মরে। আর যদি কেউ মারা যায় তাহলে কালাম তখনই সেই পরীক্ষা বন্ধ করে দেবেন বলেছিলেন। অনেকেই হয়তো জানেন না যে কালামকে বহুবার নাসা আমন্ত্রন জানিয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনোদিন তার সঠিক জবাব দেন নি। ভারতকে নিজের দেশকে খুবই ভালোবেসে ছিলেন। তাই তাঁর মাথায় সব সময় চলত কী করে দেশের যুব সমাজকে আরও কর্মক্ষম করা যায়। মৃত্যুর আগের সময় পর্যন্ত তিনি একটি অনুষ্ঠানে যুব সমাজের প্রতি বার্তা দিচ্ছিলেন। আজ তাঁর প্রয়াণ দিবস।
Post a Comment