ইসলামের সঙ্গে উর্দুর কোনো সম্পর্কই নেই, মুঘলরা কোনো দিনই উর্দুতে কথা বলেনি
Odd বাংলা ডেস্ক: পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর হক বলেছিলেন যে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু। একথা শুনেই রে রে করে উঠেছিল বাংলাদেশের বাঙালি নাগরিকরা। ফজলুর হক তার এই বক্তব্যের পেছনে কারন দেখিয়েছিলেন এই যে উর্দু হল ইসলামি ভাষা। কিন্তু আপনারা জানলে অবাক হবেন উর্দুর সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্কই নেই।
এবার এই বক্তব্যের পেছনের কারনটা উল্লেখ করা দরকার। ইতিহাস বলছে ইসলাম আসলে কোনোদিনই উর্দু ভাষাকে সম্মান দেয়নি। পাঠকরা জানলে অবাক হবেন যে কোরান উর্দুর প্রায় ৭শো বছর আগে সিন্ধিতে অনুবাদ করা হয়। আসলে উর্দু ভাষাটি একটি শহরকেন্দ্রীক ভাষা। এর সাহিত্যও চরম শহরকেন্দ্রীক। ফলে ইসলাম তথা এর ধর্মগুরুরা কোনো দিনই উর্দুকে সভ্য ভাষা বলে উল্লেখ করেননি।
শাহ আব্দুল কাদের, কোরানকে উর্দুতে অনুবাদ করার জন্য শাস্তি পেতে হয়েছিল যাকে, Image Source: Google |
ভারতের বুকে বিভিন্ন সময়ে ধর্মের সঙ্গে ভাষাকে যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। এবং ভারত স্বাধীন যখন হলো তখন ২ দেশের পাশাপাশি ২ ভাষাও আলাদা হয়ে গেল। ভারতের রাষ্ট্র ভাষা হলো হিন্দি ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হল উর্দু। অনেক মৌলবী ও মৌলানারাও জানেন না যে কোরানকে উর্দুতে অনুবাদ করা হয়েছে ১৭৯৮ সালে। অথচ কোরানের সেই অনুবাদ যে সাহিত্যিক শাহ আব্দুল কাদের করেছিলেন তাকেই ধর্মচ্যুত করে মুসলিম ধর্মগুরুরা। তাদের বক্তব্য ছিল যে ভাষাতে বাইজিরা গান গায়, সেই ভাষাতে কোরান পাঠ করা যাবে না।
অথচ তার মাত্র ১০০ বছরের মধ্যে উর্দুর ওপর কর্তৃত্ব আরোপ করল মুসলিম ইমামরা। অথচ জানলে অবাক হবেন যে উর্দু আসলে পাঞ্জাবে তৈরি একটা ভাষা। যা হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই ব্যবহার করেছেন। উর্দু সাহিত্যের বিখ্যাত সাহিত্যিক গালিব, কৃষ্ণচন্দ্র অথবা ফৈজ তারা সবাই পঞ্জাব প্রদেশেই জন্মেছিলেন। অথচ আজ সেই পঞ্জাবই উর্দুকে প্রত্যাখান করেছে।
মোঘল সম্রাট আকবর উর্দুর নামই শোনেন নি কোনোদিন, তিনি তো কাঠিয়াবাড়িতে কথা বলতেন, Image Source: Google |
Post a Comment