মোদী বলছেন কাশ্মীর শান্ত, কিন্তু উপত্যকার হাসপাতালে ভর্তি প্রায় দেড়শ কাশ্মীরি!

 
Odd বাংলা ডেস্ক: রয়টার্সের একটি বিশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ অগস্টের থেকে ২১ অগস্ট পর্যন্ত শের ই কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস এবং মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে অন্তত ১৫২ জন কাশ্মীরির চিকিৎসা হয়েছে। এঁদের সকলেই হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল ফেটে আহত হয়েছিলেন, অথবা নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া পেলেটে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ব্যাপারে ৫ অগস্ট সংসদে সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
উপত্যকার স্থানীয় মানুষের বক্তব্য হল, আহতদের সংখ্যা প্রকৃত পক্ষে অনেক বেশি। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফিরে আসছেন। তাদের নাম নথিভুক্ত থাকছে না হাসপাতালের খাতায়। কেউ বা ঘরোয়া চিকিৎসা করে ক্ষত সারাচ্ছেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এর অর্থ পরিষ্কার। কাশ্মীরের স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রের মতে, বিশেষ করে কাশ্মীরির যুবক ও অল্প বয়সী মেয়েরা অনেকেই পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ঈদের দিন, শুক্রবার নমাজের সময়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে এই ধরনের বিক্ষোভ চলছেই।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে রয়টার্সের প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে আপত্তি করা হয়েছে। এমনকি এও দাবি করা হয়েছে, বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
আহতের সংখ্যা নিয়ে এই সংবাদসংস্থা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা নিয়ে সরকারের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি-র এক কেন্দ্রীয় নেতা শুক্রবার বলেন, কাশ্মীরের পরিবেশ অশান্ত করে তুলতে সীমান্তের ওপার থেকে লাগাতার উস্কানি তো রয়েছেই। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ধারাবাহিক মন্তব্য গুলি দেখলেই বোঝা যাবে তাঁর উদ্দেশ্য কী! ইমরান জানেন, সামরিক ক্ষমতায় ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে পাকিস্তান। তাঁর দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই কাহিল যে দু’দিন যুদ্ধ চালানোর মতো সামর্থ্যও নেই। তাতে আরও রসাতলে যাবে পাকিস্তান। এই অবস্থায় উপত্যকার মানুষকে ক্ষেপানোর রাস্তাই নিয়েছে তারা। এ কথাটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ আন্তর্জাতিক শীর্ষ নেতৃত্বকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.