মীনা কুমারী, ভারতের ট্রাজেডি কুইন যিনি তিন তালাকের শিকার হয়েছিলেন


Odd বাংলা ডেস্ক: ১৯৫২ সালে বলিউডে তৈরি হয়েছিল এক সুপারহিট ছবি। যার নাম "বাইজু বাওরা"। ছবির গান যেমন হিট ছিলো তেমনই ছবিতে হিট ছিলো সেই জুঁটি। প্রথমবার স্ক্রীনে দেখা গিয়েছিল সুন্দরী মীনা কুমারীকে। তাঁর রূপের লাবন্যে তখন অনেক পুরুষই পাগল হয়েছেন। কিন্তু এই মীনা কুমারী সময়ের সঙ্গে হয়ে উঠলেন ভারতের ট্রাজেডি কুইন।   বাইজু বাওরা ছবিটিতে মুখ্য অভীনেত্রী হওয়ার কথা ছিল নারগিসের। কিন্তু কোনো এক অজানা কারনে সেই ছবি ছেড়ে চলে যান নারগিস। তারপর সেখানে নেওয়া হয় মীনা কুমারীকে। কিন্তু এই ছবির পর তাঁকে সারা দেশ চিনে ফেলে। তিনি রাতারাতি স্টার হয়ে যান।  তারপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি।
মীনা কুমারীর বিখ্যাত ছবির একটি গান, Video Source: Youtube

‘তামাশা’ ছবির সেটে অভিনেতা অশোক কুমার মীনা কুমারীর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন কমল আমরোহীর। এর পরই নিজের ‘আনারকলি’ ছবির জন্য মীনা কুমারীকে বেছে নেন আমরোহী। ছবির শুটিং শুরু হওয়ার আগেই একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মীনা কুমারী। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান আমরোহী। মীনা কুমারী জানতে চান, দুর্ঘটনার পরেও তিনিই কি ‘আনারকলি’ ছবির নায়িকা? কমল আমরোহী নাকি একটি পেন দিয়ে তাঁর হাতে লিখে দিয়েছিলেন ‘মেরি আনারকলি’। অর্থাৎ ‘আমার আনারকলি’।
১৯৫২ সালে গোপনে ‘নিকাহ’ হয় দু’জনের। যদিও দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির জেরেই, প্রায় ১২ বছর পর ১৯৬৪-তে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। শোনা যায়, রাগের বশেই নাকি এক দিন তিন বার তালাক বলে ফেলেছিলেন আমরোহী। যদিও পরে মীনা কুমারীকে ফিরে পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিন তালাক প্রথায় সেটি কার্যত অসম্ভব ছিল। হালালা প্রথার নিয়ম অনুযায়ী, জিনাত আমানের বাবা আমান উল্লাহ খানের
সঙ্গে ‘নিকাহ’ করতে হত মীনার। তাঁর সঙ্গে পারস্পরিক সহমতে বিচ্ছেদের পর, ফের আমরোহীর সঙ্গে ‘নিকাহ’ হতে পারত মীনা কুমারীর। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়েছিল কিনা জানা যায়নি।       
Blogger দ্বারা পরিচালিত.