স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরও আজও ভারতের এই এলাকা ব্রিটিশদের অধিকারে, জানেন?

Odd বাংলা ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতার ৭৩ বছর পার হল। কিন্তু জানেন কি ভারতের একটি এলাকা এখনও ব্রিটিশদের অধিনে? হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন। আজ আমরা আপনাদের এমন একটি রেললাইনের সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যার মালিকানা ভারতীয় রেলওয়ের কাছে নেই। ব্রিটেনের একটি প্রাইভেট কোম্পানি এটি পরিচালনা করে। ভারতীয় রেলওয়ে প্রতি বছর রাজস্ব বাবদ ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা একটি ব্রিটিশ বেসরকারি কোম্পানীকে দেয়।
এই রেলওয়ে ট্র্যাকে শুধুমাত্র একটি যাত্রীবাহী ট্রেন শকুন্তলা এক্সপ্রেস চলে। ভারত সরকার অমরাবতী থেকে মুর্তাজাপুর ১৮৯ কিলোমিটার যাত্রাপথ ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ করে। এই যাত্রায় শকুন্তলা এক্সপ্রেস অচলপুর, যবতমাল সহ ১৭ টি ছোট ও বড় স্টেশনে দাঁড়ায়।
 

১০০ বছর পুরানো ৫ কোচের এই ট্রেন ৭০ বছর ধরে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনেই চলত । ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার শহরে তৈরি হয়েছিল এটি। ১৫ ই এপ্রিল, ১৯৯৪ সালে শকুন্তলা এক্সপ্রেসের বাষ্প ইঞ্জিনকে ডিজেল ইঞ্জিন এ পরিবর্তন করা হয়। এই রেলপথের সিগন্যাল এখনও ব্রিটিশ আমলের, বর্তমানে ৭ কোচের এই যাত্রীবাহী ট্রেনে প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি লোক যাতায়াত করে।
শকুন্তলা এক্সপ্রেস চলার কারণে এই রুটটি 'শকুন্তলা রেল রুট' নামেও পরিচিত। ১৯০৩ সালে, ব্রিটিশ কোম্পানি ক্লিক নিক্সনের তরফ থেকে শুরু করা এই রেলওয়ে ট্র্যাকের নির্মাণ কাজ ১৯১৬ সালে সম্পন্ন হয়। ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি বর্তমানে কেন্দ্রীয় প্রাদেশিক রেলওয়ে কোম্পানি নামে পরিচিত। ব্রিটিশযুগে প্রাইভেট ফার্মটি রেল নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটায়। ১৯৫১ সালে ভারতীয় রেলওয়ে জাতীয়করণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র এই রুট ভারত সরকারে অধীনে নেই এই রেলরুটের জন্য ভারত সরকার প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা রাজস্ব দেয়।
আজও এই ট্র্যাক ব্রিটিশ কোম্পানীর মালিকানাধীন রক্ষণাবেক্ষণের পূর্ণ দায়িত্ব তাদের ওপর রয়েছে। প্রতি বছর টাকা দেওয়ার পরেও ট্র্যাকটি খুব জীর্ণ অবস্হায় রয়েছে। রেলওয়ে সূত্র অনুযায়ী, গত ৬০ বছরে এটি মেরামত করা হয়নি। জেডিএম সিরিজের ডিজেলে চলমান ইঞ্জিনের সর্বাধিক গতি প্রতি ঘন্টায় ২০ কিলোমিটারে রাখা হয়।


এই ট্র্যাকে চলমান শকুন্তলা এক্সপ্রেস প্রথমবার ২০১৪ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বন্ধ করা হয়। স্থানীয় জনগণের চাপে এবং আনন্দ রাও-এর চাপে সরকার আবার এটি চালু করতে বাধ্য হয়।
এমপি আনন্দ রাও বলেছেন, এই ট্রেনটি হল অমরাবতী জনগণের লাইফলাইন। দুর্ভাগ্যবশতঃ যদি এটি বন্ধ হয় গরীব জনগণের অনেক সমস্যা হবে। ভারত সরকার এই ট্র্যাকটি বেশ কয়েকবার কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কয়েকটি কারণের জন্য এটা সম্ভব হয়নি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.