চেয়েছিলো পড়াশোনা করতে, তারই শাস্তি, বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে শিশুদের পা
Odd বাংলা ডেস্ক: তখন স্কুলের পথে যাচ্ছিলো ওরা। আচমকা একটি বিস্ফোরণ হয়। আর তাতেই নিজের পা হারায় এই শিশুরা। আসলে ২০১৯ সালের প্রথম থেকেই আফগানিস্তানে বেড়ে গিয়েছে জঙ্গিদের আক্রমণ। ক্রমশ তাদের অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আফগানিস্তানের স্বাভাবিক জনজীবন। একটু একটু করে ধ্বংস হয়ে গেছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি। কিন্তু এই শিশুদের অপরাধ তারা চেয়েছিল পড়াশোনা করতে ।
এভাবেই এক পায়ে চলছে তাদের জীবন, Image Source: Press TV |
ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ২২শে এপ্রিল। সকালের হিমেল হাওয়া গায়ে লাগিয়ে তখন শিশুরা স্কুলের পথে। কিন্তু কে জানতো তাদের এই স্কুল যাওয়াই তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। বাড়ির দরজা থেকে বেরিয়ে তখন তারা হেঁটে চলেছে আফগানিস্তানের ছোট্ট গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে। আচমকা সেই শিশুদের দলের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোটো যে সে একটি টিনের কৌটা দেখতে পায় রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে। এই কৌটাটি সে হাতে তুলে নেয়। ব্যাস! কিছুক্ষণের মধ্যে গোটা চারিদিকে প্রচন্ড আলোতে ভরে যায়। যখন শিশুগুলির জ্ঞান ফেরে তখন তারা দেখে তারা সবাই মাটিতে পড়ে। চেষ্টা করেও কেউ দাঁড়াতে পারছে না। একটি শিশু খেয়াল করে দেখে তার পা নেই। এবার চমকে ওঠে শিশুরা। পা নেই মানে?
একটা পা নিয়েই স্কুলের পথে চলেছে তারা, Image Source: Press TV |
আসলে পড়ে থাকা সেই কৌটাটি ছিল একটি মর্টার সেল। আর সেই সেলে বিস্ফোরণটি হয়। তার ফলেই আঘাত পায় শিশুগুলি। আঘাত লাগে তাদের পায়ে। তার ফলে তারা হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এমতাবস্থায় তারা খুব চেষ্টা করে দাঁড়ানোর। কিন্তু তখন তো অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। শিশুগুলি ব্যাথায় আর্তনাদ করতে থাকে। স্থানীয়রা শিশুগুলিকে নিয়ে যায় একটি হাসপাতালে। ডাক্তার জানিয়ে দেন প্রত্যেক শিশুই নিজের পা হারিয়েছে। ফলে এখন থেকে তারা নকল পা ব্যবহার করবে।
শিশুগুলির পরিবার কান্নান ভেঙে পড়ে। কিন্তু ওই যে! সময়! সব সহ্য করা শিখিয়ে দেয়। ঠিক সেভাবে শিশুরাও এখন শিখে নিয়েছে সহ্য করতে। তারা প্রতিদিন নকল পা ব্যবহার করে চলাফেরা করে। তবু তারা স্কুল যাওয়া ছাড়েনি।
Post a Comment