১৯৩৭ সালে মৃত্যুর পর আজও এই বাড়িতে ঘুরে বেরাচ্ছে 'মিসেস লরার আত্মা'


Odd বাংলা ডেস্ক: আপনি যদি পুরনো আদলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি স্থাপনার তালিকা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই মেফ্লাওয়ার প্লেস-কে উপরের সারিতে রাখতে হবে। অসাধারণ স্থাপত্য কৌশল এবং মিশিগান লেকের কোলঘেঁষা বলে এর সৌন্দর্য্য অন্য স্থাপনাগুলোর থেকে আলাদা। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সৌন্দর্য্যের পসরা বিছিয়ে রাখা মেফ্লাওয়ার প্লেসটিকে এখন অর্ধেক দামেও বিক্রি করা যাচ্ছে না। কারণ এ বাড়িটিতে নাকি রয়েছে ভূতেদের আবাস! 
উত্তর শিকাগো থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মেফ্লাওয়ার প্লেস অবস্থিত যা সুয়েপি ম্যানশন নামেও পরিচিত। ১৯১৭ সালে এটি তৈরি করেন জন গ্রেভ শেড নামের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তৎকালীন প্রথা অনুযায়ী মিঃ শেড তার কন্যা লরার বিয়েতে এই ম্যানশনটি উপহার দেন।

সুয়েপি ম্যানশনের যে জানালাটি
কখনও ময়লা হয় না
   সাড়ে চব্বিশ হাজার বর্গফুটের এই বাড়িতে ছিল দশটি বেডরুম, তেরটি বাথরুম এবং এগারোটি ফায়ারপ্লেস। মিসেস লরা এবং তার স্বামী মিঃ চার্লস সুয়েপি এখানে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে শুরু করলেন। হঠাৎ একদিন তাদের দাম্পত্য জীবনের উপর নেমে আসে এক কালো ছায়া। আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন মিসেস লরা। সময়টি ছিল ১৯৩৭। স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে প্রচন্ড শোকে ভেঙে পড়েন মিঃ সুয়েপি। নিঃসঙ্গ জীবনের সাথে তিনি কোনভাবেই মানিয়ে নিতে পারছিলেন না কারণ মিসেস লরা ছিলেন তার জীবনের সবকিছু। ধারণা করা হয় সেজন্যই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ১৯৪১ সালে তার গুলিবিদ্ধ মৃতদেহটি তারই বেডরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহটির সাথে উদ্ধার করা হয় তারই হাতে লেখা একটি চিরকুট যাতে লেখা ছিল, “সারারাত ঘুমাতে পারিনি। অসহ্যকর!”

সুয়েপি ম্যানশনের যেখানে গৃহকর্মীদের
খাবার পরিবেশন করতে দেখা যায়
   মিঃ সুয়েপির মৃত্যুর পরবর্তী কয়েক বছর তার পরিবার বাড়িটি দেখাশুনা করলেও এরপর আর কেউ দেখাশুনা করেননি। বাড়িটি খালি পড়ে ছিল প্রায় ৪৬ বছর। এরই মধ্যে শুরু হয় নানারকমের ভূতুড়ে ঘটনা। অনেকে নাকি মিসেস লরা এবং মিঃ সুয়েপিকে তাদের বেডরুমে দেখেছেন। তাদের গৃহকর্মীদের খাবার পরিবেশন করতে দেখেছেন। বলা হয়, তাদের বেডরুমে একটি জানালা আছে যেটা কখনোই ময়লা হয় না। এছাড়াও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে একবার নাকি উপরের তলার একটি রুমে অদ্ভুত একটি এক পায়ের ছাপ পাওয়া যায় যার কোন ব্যাখ্যা এখনও কেউ দিতে পারেনি।

   যাইহোক, ১৯৮৭ সালে ম্যানশনটির ক্রেতা পাওয়া যায়। এরপর ম্যানশনটিকে একদফা সংস্করণ করা হয়।  ২০১১ সালে ১৮ মিলিয়ন ডলারের ম্যানশনটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও ৯ মিলিয়ন ডলারেও ক্রেতা পাওয়া যায়নি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.