শ্যামাসঙ্গীতের মহিরুহ, আধুনিকেও সমান সাবলীল, জন্মদিনে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য


Odd বাংলা ডেস্ক: সাধক শিল্পী না হলে এটা অসম্ভব৷ তাঁর পরেও কত শিল্পী শ্যামাসঙ্গীত গেয়েছেন কিন্ত্ত সেই হূদয়াবেগ আর ফিরে আসেনি৷ বাংলা আধুনিক ও রাগাশ্রয়ী সঙ্গীতের একজন প্রধান শিল্পী। শ্যামাসংগীত ও রামপ্রসাদী গানের জন্যও তিনি সমধিক বিখ্যাত ছিলেন। ৫০ বছরের দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে তিনি পাঁচ শতাধিক গান রেকর্ড করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল বাংলা আধুনিক, শ্যামাসংগীত, রামপ্রসাদী, হিন্দি গান, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, ভজন, কীর্তন, বাউল গান। বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনে তিনি ছিলেন একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার। 'শ্রী আনন্দ' ও শ্রীপার্থ' নামে তিনি চার শতাধিক গীত রচনা করেছিলেন, যার মধ্যে কিছু ছিল আধুনিক আর অধিকাংশই শ্যামাসংগীত। সঙ্গীত পরিচালনা করতে যেয়ে একসময় তিনি 'সাড়ে ৭৪', 'নববিধান', 'পাশের বাড়ি' এমন কয়েকটি বিখ্যাত ছায়াছবিতেও চরিত্রাভিনয় করেছিলেন। তবে তাঁর ব্যাক্তি জীবন অনেকাংশেই ছিল রহস্যে ঘেরা।
বিখ্যাত সেই গান "অন্তবিহীন এই অন্ধ রাতের"

অনেকেই জানেন না যে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের পরিবারিক চিত্র ঠিক কী ছিল। ১৯২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর এক অতি রক্ষণশীল শাক্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৯৪০ এ প্রথম গান, 'যদি ভুলে যাও মোরে' রেকর্ড করার আগের তাঁর পরিবার বা সঙ্গীতশিক্ষা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায় না। ধারনা করা যায়, পারিবারিক ও ধর্মীয় ভাবেই তাঁর সঙ্গীত শিক্ষা ও সাধনা শুরু হয়েছিল। অসাধারণ কণ্ঠের কারুকাজ থেকেই তাঁর সাধনার কঠোরতা অনুধাবন করা যায়। শ্যামাসঙ্গিতের অপর রহস্যপুরুষ ও কালজয়ী শিল্পী, পান্নালাল ভট্টাচার্য ছিলেন ধনঞ্জয়ের ৮ বছরের ছোট সহোদর ভাই।
HMV-এর রেকর্ডের জন্য তোলা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের ছবি, Image Source: Google

Blogger দ্বারা পরিচালিত.