আজ জন্মদিন বলিউডের বিখ্যাত কমেডিয়ান মেহমুদের, জানুন তাঁর সম্পর্কে অজানা তথ্য


Odd বাংলা ডেস্ক: বলিউডকে তিনি ভাঁড়ামি থেকে কমেডিতে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি মেহমুদ। তাঁর জীবনে তিনি অজস্র ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে এমন অনেক কথা আছে যা মেহমুদের দ্বারাই সম্ভব ছিল। গোটা বলিউড যাকে শাহেনশাহ বলে চেনে সেই অমিতাভ বচ্চন খুব ভয় পেতেন মেহমুদকে।সময়টা হিন্দি সিনেমার স্বর্ণযুগের। রাজ কাপুর, দিলীপ কুমারদের মতো তারকারা তখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মুম্বাইয়ের সিনে জগৎ। কিন্তু তাদের ছায়া থেকে বেরিয়ে গড়ে উঠেছে আরেকটি প্রজন্ম; কিশোর কুমার, অশোক কুমারদের হাত ধরে কমেডি হয়ে উঠেছে সিনেমার অন্যতম সফল ধারা। সেই ধারার অন্যতম শক্তিশালী অভিনেতা হিসেবে সেই ষাটের দশকেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মেহমুদ, যার হায়দ্রাবাদী টানের উর্দু উচ্চারণের সংলাপ আজও মনে রেখেছে দর্শক। মেহমুদ ছিলেন একদম শূন্য থেকে নিজেকে গড়ে তোলা এক চরিত্রাভিনেতা মুমতাজ আলির পুত্র। তিনি নিজেও খ্যাতি অর্জনের আগে পাড়ি দিয়েছেন কঠিন সংগ্রামের পথ। বিয়ে করেছিলেন তখনকার বিখ্যাত অভিনেত্রী মীনা কুমারীর বোনকে। 



এবার আসা যাক আসল ঘটনাতে। অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য ছায়াছবি হল "বম্বে টু গোয়া"। এই সিনেমাটি কিন্তু মেহমুদের নিজের প্রযোজিত ছবি ছিল। ফলে মেহমুদ ঠিক করে দিচ্ছিলেন কীভাবে ছবিটা হবে। আর এই সিনেমাতেই একটি গান আছে "দেখা না হায় রে সোচা না"। তাতেই অমিতাভ বচ্চনকে নাচতে বলেছিলেন মেহমুদ। আর সেটা শুনেই অমিতাভ আতঙ্কিত হয়ে যান। সেই সিনেমার আগে অমিতাভ বচ্চন কোনোদিন নাচার চেষ্টা করেননি । ব্যাস! কথাটা শোনার পরেই টেনশন শুরু করে দেন অমিতাভ। প্রথমে তো নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। তারপর মেহমুদ তাকে ধরে নিয়ে এসে নাচতে বলেন। কোরিওগ্রাফারের কথা অনুযায়ী অমিতাভ নাচতে শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষন পর অমিতাভের মনে হয় যে তাঁকে দেখে সবাই হাসছে। আর থাকতে পারলেন না। তিনি সোজা গিয়ে মেহমুদের পা ধরে ফেললেন। বললেন " আমাকে দিয়ে এসব করাবেন না, আমি নাচতে পারি না।"



কিন্তু মেহমুদ তাকে তুলে বললেন "তুমিই পারবে।" আরও বললেন কোনো বিষয় না জানলে সেটাতে লজ্জার কিছু নেই। শিখে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। অবশেষে অমিতাভ নেচে ছিলেন। এবং এই সিনেমাটি তাঁর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা হয়ে থেকে যায়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.