জন্মদিনে মোদী, জানুন সেই ৩টি কথা, যা তাঁর সম্পর্কে খুব মানুষ জানে


Odd বাংলা ডেস্ক: ১৯৫০ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর গুজরাটের একটি ছোট শহরে তাঁর জন্ম। সমাজের প্রান্তিক স্তরের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত ছিল তাঁর পরিবার। এক দরিদ্র কিন্তু ভালবাসায় পরিপূর্ণ পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা, যাঁদের একটি টাকাও অতিরিক্ত ব্যয়ের ক্ষমতা ছিল না। প্রাথমিক পর্যায়ে অত্যন্ত কষ্টসাধ্য জীবনযাপন তাঁকে যে শুধু কঠিন কাজের মূল্যই শিখিয়েছে, তা নয়, বরং সাধারণের দুঃখকষ্ট বুঝতেও সাহায্য করেছে। এই বিষয়টিই খুব ছোটবেলা থেকে তাঁকে সাধারণ মানুষ তথা দেশের সেবায় উদ্বুদ্ধ করেছে। প্রথম দিকের বছরগুলিতে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মতো জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে দেশ গঠনের কাজে নিজেকে সম্পূর্ণ নিয়োজিত করেন এবং পরে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়ে তিনি জাতীয় এবং রাজ্য পর্যায়ে কাজ করেন। শ্রী মোদী গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এমএ করেন।
২০০১ সালে তিনি তাঁর রাজ্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন, এবং রেকর্ড সংখ্যক চারবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে জনসেবার কাজ করে গিয়েছেন| যে গুজরাট সেসময় বিধ্বংসী ভুমিকম্প পরবর্তী বিপুল ক্ষতির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল তিনি সেই গুজরাটের রূপান্তর ঘটিয়েছেন, বিকাশের কারিগর হিসেবে রাজ্যকে পরিনত করেছেন, যা ভারতের উন্নয়নে যথেষ্ট শক্তিশালী অবদান রাখছে।

নরেন্দ্র মোদি এমন একজন জন-নেতা, যিনি জনগণের সমস্যা নিরসনে এবং তাঁদের মঙ্গলের জন্য নিজেকে নিবেদিত করে রেখেছেন। মানুষের মধ্যে থাকা, তাঁদের দুঃখ-কষ্টের অংশীদার হওয়া, তাঁদের কষ্টের লাঘব করা, তাঁর কাছে এর চেয়ে সন্তোষজনক আর কিছু নেই। মানুষের সংগে তাঁর জোরদার ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকার ফলে তিনি এক মজবুত অনলাইন উপস্থিতি পেয়েছেন| তাঁকে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি-প্রেমী নেতা বলে গন্য করা হয়, যিনি মানুষের সংগে যোগাযোগ রাখতে ও তাদের জীবনের পরিবর্তন আনতে ওয়েব ব্যবহার করেন| তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয়| এই মাধ্যমের বেশ কয়েকটি মঞ্চ যেমন, ফেসবুক, ট্যুইটার, গুগল+,ইন্সটাগ্রাম, সাউন্ড-ক্লাউড, লিঙ্কড-ইন, ওয়েবিও, এবং অনান্য আরো কয়েকটিও তিনি ব্যবহার করেন|
১) ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় রেল স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করেন তরুণ নরেন্দ্র মোদী। ১৯৬৭ সালে বন্যাত্রাণের কাজে সামিল হন তিনি।
২) রাজনীতি ছাড়া আরও কয়েকটি শখ রয়েছে নমো-র। অবসর সময়ে কবিতা লেখা, ফোটোগ্রাফি এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে থাকতে তিনি পছন্দ করেন।
৩) যুবা বয়সে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার ইচ্ছা তার ছিল না। নরেন্দ্রর বরং ধ্যান-জ্ঞান ছিল সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করা। সেই উদ্দেশে রামকৃষ্ণ মিশনে তাঁর যাতায়াত শুরু হয়। কিন্তু ৩ বার চেষ্টা করা সত্ত্বেও মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়নি। সন্ন্যাস নয়, দেশ সেবায় জীবন উত্‍সর্গ করার উপদেশ দেন স্বামী আত্মস্থানন্দ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.