অত্যাচারী হিটলার কিন্তু দারুন ছবি আঁকতেন, দেখেছেন?


Odd বাংলা ডেস্ক: মানুষের চোখে তিনি শুধুই একজন রাজনৈতিক ভিলেন। নাৎসি বাহিনীর নেতা ও স্বৈরশাসক এডলফ হিটলার ইতিহাসের এক ঘৃণিত রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি পেলেও তার আরও একটি পরিচয় অনেকের কাছেই প্রায় অজানা। রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগে তিনি একজন চিত্রশিল্পী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন। অল্প বয়সেই ছবি আঁকতে ও কবিতা লিখতে ভালবাসতেন। তার বিখ্যাত বই ‘মাইন ক্যাম্ফ’ এ তার শিল্পী জীবনের নানা গল্প উঠে এসেছে।


পড়াশোনায় খুব একটা ভাল ছিলেন না। তাই চিত্রশিল্পী হওয়ার বাসনা তখন থেকেই মাথাচাড়া দিতে থাকে। নিজেকে একজন সফল চিত্রশিল্পী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সে আশায় ১৯০৫ সালে ভিয়েনায় পাড়ি জমান তরুণ এই শিল্পী। ভিয়েনায় থাকার সময়ে নিজের দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির আঁকা ছবি দেখে সেগুলো পোস্টকার্ডের ওপর নকল করতেন। সেসব পোস্টকার্ড বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার মাঝেও চলতো তার শিল্প সাধনা। নিজের পছন্দের, ভাল লাগা ছবিও আঁকতে চেষ্টা করতেন। ভিয়েনার প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী এবং তার আশেপাশের বিভিন্ন স্থানের ছবি এ সময়ে তিনি অনেক এঁকেছেন।
হিটলারের আঁকা জল রঙের চিত্র, Image Source: Google
১৯০৭ সালে ১৮ বছর বয়সে চিত্রাঙ্কন শিখার জন্য ভিয়েনার বিখ্যাত একাডেমি অব ফাইন আর্টসে ভর্তির হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরপর দুবার ভর্তি পরীক্ষায় বসেও হিটলার উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তিনি যে ছবিগুলো এঁকেছিলেন তা পরীক্ষকদের মনে দাগ কাঁটতে পারেনি।

ভিয়েনার আর্ট স্কুলে ভর্তি হতে না পারায় নিদারুণ হতাশা ও মানসিক চাপে হিটলার প্রায় পাঁচ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে একজন সফল চিত্রশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হিটলার খুব একটা যে সফল হননি তা তার পরবর্তী জীবন থেকেই বোঝা যায়। চিত্রশিল্পী হিসবে ব্যর্থ হওয়ার পরেই তিনি ছবি আঁকা প্রায় ছেড়েই দেন।

এরপর হিটলার ভিয়েনা ছেড়ে মিউনিখে এসে উপস্থিত হন। চারদিকে তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। হিটলার জার্মানির পক্ষে সে যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ শেষে তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ন্যাশনাল ওয়াকার্স পার্টির প্রধান হিসেবে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসতে তাকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। পরে সেই দল ভেঙে ন্যাশনাল স্যোশালিস্ট পার্টি নামে নিজের একটি দল করেন। ১৯৩৩ সালের ৩০ জানুয়ারি জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.