মৌলিক গান শুনতে ভালোবাসেন? তালপাতার সেপাই সেট করছে নতুন ট্রেন্ড


Odd বাংলা ডেস্ক: শেষ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে তৈরি হওয়া মৌলিক গান শুনে খুব দুঃখ হচ্ছিল। মনে করতাম স্বল্প আয়োজনেও তো ভালো পদ সৃষ্টি সম্ভব। এই যেমন বাংলাদেশ করে আসছে। মিফতা জামানের "ভালো থেকো" শুনে ভাবতাম এরকম একটা দুটো গান কি এপার থেকে হবে না? ভাবতাম এপারেও তো মৌলিকতার খুব প্রয়োজন। নাঃ! কিন্তু কোথায় সেই লেখা যা গান হওয়ার পর কানে একটা অনুভূতি দিয়ে যাবে? অবশেষে এই দিন কয়েক আগে উদ্ধার হল এমনই একটি গান।

মধ্যরাতে ডাকলে দিও সাড়া

চাঁদের আলোয় বাঁধ ভেঙেছে পাড়া!
তুমিও একা ঘুমিয়ে আছো দূরে, 
গান লিখেছো অভিমানের সুরে...   

প্রথম ৪ লাইনেই তো বাজিমাত। বাকি লাইনগুলো না হলেও চলত। কিন্তু লেখার পেছনে যাঁর সৃষ্টিশীলতা তিনি কিন্তু রূপবতীও। হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন। নাম কৃতী। এই সুন্দরীর কলমে যে জাদু আছে তা এই একটা গানই প্রমাণ করে দিতে পারে। তবে গান লেখা মানেই যে আঁতলামি তা কিন্তু এই গীতিকারের লেখার কোনো অংশেই উঠে আসেনি। নিছক একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে যা ভাবা সম্ভব ততটাই।
সুন্দরী গীতিকার কৃতী রায়,  Image Source: Kritee's Facebook


এবার আসা যাক তালপাতার সেপাইয়ের মুখ্য, টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরির গুপি-বাঘা ডুয়োর কথায়। প্রীতম দাস আর সুমন ঘোষ। ভূমি, চন্দ্রবিন্দু বাঙালিকে ব্যান্ড দিয়ে গেছে। আবার কবির সুমন দিয়ে গেছেন সোলো। কিন্তু মিউজিকাল ডুয়ো বাংলার সঙ্গীত অভিধানে অনবদ্য এক সংযোজন। যদিও প্রথম কয়েকটা গানের কম্পোজিশন শুনে মনে হয়েছে  সনম পুরির বাংলা সংস্করণ হতে পারে। তারপরেই যখন ওদের মৌলিক কাজগুলো শোনা হল। ব্যাস! তালপাতার সেপাই গান লেখার জন্য তো বটেই, তবে তাদের ভিডিও প্রোডাকশনের আইডিয়াগুলো অবশ্যই ভালো। দর্শক চিত্তে যা ভালোই প্রভাব ফেলছে।  স্ক্রীনে আটকে রাখার ক্ষমতা আছে।
প্রীতম দাস ও সুমন ঘোষ, Image Source; Talpatar Sepai 

ওদের গানগুলি শুনে দেখতে পারেন। বেশ অন্যধারার একটি ছোঁয়া আছে প্রতি সৃষ্টিতে। মেইনস্ট্রিম থেকে একটু সরে তবে সাধারণের বোধগম্য সঙ্গীত সৃষ্টি।

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া গান 'মধ্যরাতে'
Blogger দ্বারা পরিচালিত.