৬০০ কোটির সম্পত্তি হেলায় সরিয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন এই ব্যবসায়ী, জানুন বনওয়ারলাল রঘুনাথ দোশীর কথা



Odd বাংলা ডেস্ক: সাধুবাবা সেজে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন এমন নজির ভারতবর্ষে কিছু কম নেই। তবে কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি দূরে সরিয়ে রেখে সন্নাসী হয়েছেন এমন নজির খুব একটা দেখা যায় না। তেমনই একজন হলেন দিল্লির কোটি টাকার ব্যবসায়ী বনওয়ারলালা রঘুনাথ দোশী।  

সত্তরের দশকের শেষের দিকে নিজের একটি ব্যবসা শুরু করবেন বলে বাবার কাছ থেকে ৩০,০০০ টাকা ননিয়েছিলেন বনওয়ারলাল রঘুনাথ দোশী। রাজস্থানের এক ছোট্ট টেক্সটাইল ব্যবসায়ীর ছেলে ছিলেন তিনি। তাঁর বাবা সর্বদাই চেয়েছিলেন ছেলেই তাঁর ব্যবসার হাল ধরুক। কিন্তু নিজের একটা আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। বাণিজ্যে উন্নতির শিখরে পৌঁছতে চেয়েছিলেন তিনি। এরপর শুরু হয় তাঁর পথ চলা। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্লাস্টিকের কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। একটু একটু করে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেন তিনি। কিন্তু এই সবকিছু হেলায় ছেড়ে দিয়ে একজন জৈন সন্ন্যাসী হয়ে উঠলেন তিনি।

Image Source- Google
২০১৫ সালে আহমেদাবাদ এডুকেশন সোসাইটি-তে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে জৈন সন্ন্যাসী রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাঁর সেই অনুষ্ঠানটিও ছিল বৈচিত্রপূর্ণ। কারণ সেই অনুষ্ঠানে একদিকে যেমন জৈন আধ্যাত্মিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন তেমনই উপস্থিত ছিলেন শহরের বড় বড় শিল্পপতিরাও। তিন সন্তানের বাবার জীবনটা এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তিনি চুল কাটতে পারবেন না, জুতো ছাড়া হাঁটতে হয় তাঁকে। নামজাদা দীক্ষা দানেশ্বরী গুণরত্ন সুরিশওয়ারজি মহারাজ তাঁকে তাঁর ১০৮তম শিষ্য হিসাবে গ্রহণ করেছেন। 

সন্ন্যাসী হিসাবে তাঁর আত্মপ্রকাশ একটা অত্যন্ত ব্যতিক্রমী বিষয়, কারণ তিনি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের বাবাও। পাশাপাশি ব্যবসায়ী হিসাবে তাঁর একটা সামাজিক অবস্থানও রয়েছে। তবে তিনি যে এইইরকম জীবন বেছে নেবেন তা খানিকটা পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। ১৯৮২ সালেই তিনি ঠিক করেছিলেন যে, তিনি এই জীবন বেছে নিতে চলেছেন। শুনলে আরও অবাক হতে হয় যে, তাঁর ছেলে ব্রিটেন থেকে এমবিএ করেছেন, কিন্তু তাঁকেও তাঁর বাবা একটাই পরামর্শ দিয়েছিল যে, জীবনে শুধুই পড়াশোনা করে কোনও লাভ নেই, জীবনের একমাত্র পথ হল মোক্ষ লাভ করা। 

Blogger দ্বারা পরিচালিত.