মঙ্গলের বুক চিরে বয়ে যেত জলের স্রোত, নাসার রোভার দিল এমনই প্রমাণ


Odd বাংলা ডেস্কঃ আপনাকে যদি ৩৫০ কোটি বছর পিছনে ভ্রমণ করার সুযোগ পান, সেই সময়ে লাল গ্রহ মঙ্গলকে কেমন দেখতে ছিল, সেই বিষয়টি কি কখনও ভেবে দেখেছেন? জানললে অবাক হবে ৩৫০ কোটি বছর আগে মঙ্গলের বুক চিরে বয়ে যেত নদী- অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। কারণ নাসার রোভার কিউরিওসিটি মঙ্গলের বুকে জলের অস্তিত্ব থাকার বেশ কিছু প্রমাণও সংগ্রহ করেছে। 

নেচার জিওসায়েন্স পেপারে প্রকাশিত কিউরিওসিটি বিজ্ঞানীরা গোটা বিষয়টির বিসেতর বর্ণনা করেছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন রোভার কিউরিওসিটি খনিজ লবণ দ্বারা গঠিত যেসব শিলার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে, সেগুলি আদতে একসময়ে অগভীর পুকুর ছিল, তারই প্রমাণ দেয়। একদা যেসব জলাশয়ের জল উপচে পড়ত কালের প্রবাহে তা ধীরে ধীরে শুকিয়ে গিয়েছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। নিরন্তর জলবায়ুর পরিবর্তনের জেরে মার্টিয়ান পরিবেশ যেভাবে সিক্ত নদী থেকে ধীরে ধীরে শীতল প্রান্তে পরিণত হয়েছে, সেই একইভাবে মঙ্গলেও কালের নিয়মে জলের পরিমাণ কমে গিয়েছে।

গবেষকদের কাছে এখন এটা জানাই মূল লক্ষ্য যে এই পরিবর্তনটি ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছিল এবং এইভাবে শুষ্ক হতে কত সময় লেগেছিল। পাশাপাশি কিউরিওসিটি এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছে যা থেকে প্রমাণিত হয় যে একসময় মঙ্গলে স্বাদু জলের হ্রদও ছিল। প্রসঙ্গত আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে নাসার মঙ্গলযানের রোভার কিউরিওসিটির কাজ শেষ হবে। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ হিসাবে এই আবিষ্কার যে বিক্ষানীদের আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল সেকথা বলাই যায়। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.