পাওয়া গেল এক রহস্যজনক মানবজাতির সন্ধান, পাহাড়ে বসবাসকারী শেরপাদের মধ্যেই তার অস্তিত্ব বর্তমান!


Odd বাংলা ডেস্ক: সৃষ্টির আদীমতম ইতিহাস বলছে এই আদীম মানবই ধীরে ধীরে কালের পরিবর্তনে পরিবর্তীত হয়ে আজকের মানুষের রূপ পেয়েছে। কিন্তু এই আদীম মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে মানুষের মনে কৌতুহলের অবকাশ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সময়ে মাটির নীচ থেকে পাওয়া দেহাবশেষ থেকে প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। সম্প্রতি তিব্বতের মালভূমি অঞ্চলের এক গুহার মধ্যে থেকে এক রহস্যজনক প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যার নাম ডেনিসোভান। 

এই বিশেষ প্রজাতিটিকে রহস্যজনক বলা হচ্ছে, কারণ এর আগে এই একইরকমের নমুনা উদ্ধার করা হয়েছিল সাইবেরিয়ার ডেনিসোভা নামে এক গুহা থেকে। মনে করা হচ্ছে, এই ডেনিসোভান প্রজাতির মানুষরা মূলত এশিয়া মহাদেশে বসবাস করলেও পরবর্তীকালে এরা পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যায়। সম্প্রতি সেই একইরকম জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে তিব্বতের ওই মালভূমি অঞ্চল থেকে। প্রায় ১৬০,০০০ বছরের পুরনো কিন্তু তাও শক্ত দাঁত এবং হাড়ের অংশ থেকে বোঝা যায় সেই এই প্রজাতির নেদারল্যান্ডের একাধিক জায়গায় তাদের অবাধ বিচরণ ছিল। বিষয়টি আরও একটি বিষয়কে প্রমাণ করে তা হল, এরা অত্যন্ত উচ্চতায় বসবাস করত। 

বিজ্ঞানীদের কথায়, যে তিব্বতের যে স্থান থেকে এই জীবাশ্মটি উদ্ধার করা হয়েছে, এর আগে হয়তো কেউই বিশ্বাস করেনি যে, এই উচ্চতায়ও মানুষের বাস থাকতে পারে। সেই সময়কার তাপমাত্রা হয়ত আজকের থেকেও আরও মারাত্মক হতে পারত। হয়তো তখনকার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রসঙ্গত এর আগে সাইবেরিয়ার যে গুহা থেকে ডেনিসোভান জীবাশ্মগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল, তার মধ্যে আঙুলের টুকরো, কিছু দাঁত এবং হাড়ের কয়েকটি টুকরো টুকরো পাওয়া গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা হাড়ের অভ্যন্তর থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে তার সঙ্গে বর্তমান মানুষের তুলনা করে বুঝেছিলেন যে, এই প্রজাতিগুলি একসময় ইউরোপ এবং এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত ছিল। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এখনকার শেরপা এবং তীব্বতি জনগোষ্ঠীর মানুষদের মধ্যেও কয়েক হাজার বছর আগেকার ডেনিসোভানদের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।  
Blogger দ্বারা পরিচালিত.