সামনেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন, লড়াই কঠিন, বিজেপির সামনে রয়েছে একগুচ্ছ চ্যাল্যেঞ্জ


Odd বাংলা ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন ২০১৯-এর আগে ভোটের ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল। তাঁর কথায়, ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের পর ফলাফল ঘোষণার পর ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ারকে তাঁর রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নিতে হবে। কিন্তু পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রে বিশাল সংখ্যক আসন লাভ করার জন্য বিজেপিকে কিন্তু একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে হবে।  

কৃষিক্ষেত্রে সমস্যা, পানীয় জলের সহজলভ্যতা, এবং ধনগড় শেপার্ড সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলি কিন্তু এখন বিজেপি সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নাগেশ কেশরীর কথায়, বৃষ্টিপাত নির্ভর করে প্রকৃতি মায়ের ওপর কিন্তু জল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি কিন্তু পুরোপুরিভাবে রাজ্য সরকারের হাতে। তিনি আরও বলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ পরিচালিত সরকার যদি কৃষ্ণা নদী এবং তার শাখা নদীগুলির জলের সঠিক ব্যবস্থাপনা করতেন তাহলে হয়তো অগাস্ট মাসে সঙ্গিল, সাতারা এবং কোলাপুরের মানুষরা এইভাবে বন্যার ক্ষতিগ্রস্থ হতেন না। 

তিনি আরও বলেন, জল সমস্যা রাজ্যের একটি বিতর্কিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মারাঠওয়াডার মতো এলাকা জল সরবরাহের ক্ষেত্রে বরবরই সমস্যার মুখে পড়েছে, কারণ জয়াকওয়াডি বাঁধের জল কখনওই সমানভাবে বন্টন করা হয় না। তিনি আরও বলেন, বিজেপি বহু বছর ধরে বিরোধী দলের ভুমিকায় থেকেছে এবং সেই সময়ে বিজেপি একাধিক বিষয় উত্থাপন করলেও, রাজ্যে কৃষকদের উন্নয়নের পক্ষে কোনও সওয়াল করেনি এবং রাজ্যের কৃষিক্ষেত্র এবং জলসেচ ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করেননি। পাশাপাশি রাজ্যের আমলাতন্ত্রের ওপরেও তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, যার সাহায্যে কোনও পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। 

পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ধনগড় এমনকী ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ও সংরক্ষণের দাবি তোলায় বর্ণ ভিত্তিক সংরক্ষণ একটা উদ্বেগজনক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের সাহায্য করার জন্য যে এগ্রিকালচার প্রোডিউস মার্কেট কমিটি গঠন করা হয়েছে তাই এখন শোষণের জাঁতাকলে পরিণত হয়েছে। ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও কৃষকের জোটে মাত্র ১০ টাকা। ইত্যাদি নানা বিষয়গুলি যেভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাতে নির্বাচনের আগে বিজেপিকে একটা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.