কলার খোসা ফেলে দেবেন না, খেতে পারেন রান্না করেও, জেনে নিন এর গুণাগুণ


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে যে খাবারটি সকলেই খেয়ে থাকেন তা হল কলা। কলা ছাড়া ব্রেকফাস্টটা ঠিক যেন সম্পূর্ণ হয় না। কা খেয়ে খোসাটি স্বাভাবিকভাবেই সকলে ফেলে দেন, কিন্তু জানেন কি কলার খোসাতেও রয়েছে এমন কিছু গুণাগুণ,যার কথা যত বলা হয়, ততই কম। এক ঢলকে দেখে নিন কলার খোসার এই কয়েকটি না-জানা গুণাগুণ। 

১)ব্রণ দূর করতে- ব্রণর সমস্যায় ভুগে থাকেন যেসব যুবক-যুবতী তাঁদের জন্য কলার খোসা হল সবচেয়ে ভাল উপকরণ। মুখের যে অংশে ব্রণ হয়েছে, সেখানে কলার খোসা ভাল করে ঘসে লাগিয়ে নিন। ব্রণ সমস্যা নিমেষে গায়েব হয়ে যাবে। 

২) অবসাদ দূর করতে- অনেক সময়ে কাজের চাপ বা অন্য় কোনো কারণেও অবসাদ গ্রাস করতে থাকে। তাই অবসাদ কাটিয়ে উঠতে বিশেষভাবে সাহায্য করে কলার খোসা। কলার খোসায় সেরোটোনিন নামে একধরণের রাসায়নিক থাকে, যা রান্না করে খেলে অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। 

৩) চুলকানি দূর করে- ত্বকের কোনও অংশে খোসপাচড়া বা চুলকানি হলে কলার খোসা হতে পারে তার অব্যর্থ ওষুধ। 

৪) বলিরেখা দূর করতে- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ওপর বলিরেখা পড়ে যাওয়া খুব পরিচিত একটা সমস্যা। ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কলার খোসার পেস্ট বানিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে ডিমের কুসুমের অংশটুকু মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান, বলিরেখা থেকে মুক্তি পাবেন। 

৫) আঁচিল দূর করতে- আঁচিল শরীরে দু-একটা থাকতেই পারে। কিন্তু অনেকের শরীরে ঘন ঘন আঁচিলের প্রবণতা দেখা যায়। আঁচিল দূর করতে এক অব্যর্থ টোটকা হল কলার খোসা। কলার খোসা আঁচিলের ওপর রেখে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিন। এইভাবে ততদিন করুন যতদিন না আঁচিলগুলি খসে পড়ে। 

৬) ফোলাভাব কমাতে- অনেক সময়ে মশার কামড়ের ফলে শরীরে লাল লাল ফোলা ভাব তৈরি হয়ে থাকে। অনেক সময়ে জ্বালাভাবও অনুভব হয়ে থাকে এই মস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন কলার খোসা। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.