বিয়ের পর শৌচালয়ে সেলফি তোলাই এখন রীতি! কিন্তু কেন?


Odd বাংলা ডেস্কঃ বিয়ের অনুষ্ঠানে নিয়ম-কানুন থাকবে না তা কি হয়! বরং হিন্দু রীতি অনুসারে বিয়েই এক অন্যতম অনুষ্ঠান যেখানে আচার-অনুষ্ঠানের শেষ নেই বলা চলে। তবে বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠানের সঙ্গে আচার অনুষ্ঠান ছাড়াও যে বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত তা হল ফটোগ্রাফি। এখন প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুটের রমরমা রীতিমতো তুঙ্গে। 

কিন্তু সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ সরকার এক অদ্ভুত 'ফটোশ্যুট'-এর আয়োজন করেছে, যেখানে বরকে শৌচালয়ে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলতে হবে। আর তা করতে পারলেই নববধূ পুরস্কারস্বরূপ পেয়ে যাবেন নগদ ৫১,০০০ টাকা! বিষয়টি শুনতে হাস্যকর হলেও এটাই সত্যি। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ সরকার মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ/ নিকাহ প্রকল্পের আওতায় এই নয়া নিয়ম চালু করেছে। 

কিন্তু কেন এই অদ্ভুত নিয়ম? একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, বরের বাড়িতে শৌচালয় আছে কিনা তার প্রমাণ পেতেই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। আর এই প্রমাণ দিতে পারলে তবেই মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহা/ নিকাহ স্কিমের অধীনে ৫১,০০০ টাকা পাওয়া যাবে। অতএব প্রকল্পের টাকা যদি পেতে হয় তাহলে কিন্তু শৌচালয়ে দাঁড়িয়ে বরের সেলফি তোলা আবশ্যক। এই বিষয়ে সরকারের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, সরকারি আধিকারিকের তরফে যেহেতু বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে তদারকি করা সম্ভব নয়, সেহেতু এই অভিনব উপায় বের করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে তো বটেই পাশাপাশি ভোপাল পুরসভা এলাকাতেও এই নিয়ম বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে #SelfieStandingInToilet । 

অনেকের অবশ্য দাবি এর জন্য নতুত বরদের একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে। বাড়িতে শৌচালয় আছে কি না তা প্রমাণ করার জন্য আরও অন্য কোনও ভাল উপায়ও বের করা যেত। প্রসঙ্গত, সমাজের পিছিয়ে পড় মেয়েদের জন্যই শুরু করা হয়েছিল এই মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ/ নিকাহ প্রকল্প শুরু করা হয়। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠনের পর এই প্রকল্পের সূচনা করেছিল, যার হাত ধরে সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেনির হাতে আর্থিক সহায়তা হিসাবে ২৮,০০০ থেকে ৫১,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হবে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.