গত ৬০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ টাইফুন জাপানে, প্রাণ কাড়ল অসংখ্য মানুষের


Odd বাংলা ডেস্কঃ এক এক জায়গায় তার এক একটা নাম। চিন এবং জাপান সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন নামে পরিচিত। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ যখন ঘণ্টায় ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়, তখন এই ঝড় টাইফুন নামে ডাকা হয়। জাপানে এবার যে টাইফুন হয়েছে গত ৬০ বছরে এটিকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হচ্ছে। 

শনিবার রাতে জাপানের বুকে আছড়ে পড়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হাগিবিস। জাপানের মূল দ্বীপের পূর্ব উপকূল ধরে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ে গতিবেগ ছিল ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২২৫ কিলোমিটার। শেষ পাওয়া খবর অনুসার এখনও পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের হানায় প্রাণ গিয়েছে ৪৩ জনের। প্রায় ২০০-রও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অগণিত মানুষ। জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন কার্যত জলমগ্ন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে যেসব মানুষ নিখোঁজ তাঁদের সঠিক সংখ্যাটা এখনও ঠিকঠাক করে জানা যায়নি। যদিও তাঁদের খোঁজ জারি রয়েছে। 

Image Source- Google
জাপান পুলিশ, দমকল, উপকূলরক্ষী-সহ প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার উদ্ধারকারী উদ্ধারকার্যে অংশ নিয়েছেন। জলমগ্ন একাধিক এলাকায় উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে নৌকোর সাহায্যে পাশাপাশি হেলিকপ্টারের সাহায্যেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মারাত্মক ভয়াবহ হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করা হয়েছে, যার ফলে প্রায় সত্তর লক্ষেরও বেশি মানুষকে ঘর ছাড়তে বলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে একাধিক আপৎকালীন আশ্রয় শিবির গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০,০০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে যে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে কমপক্ষে ২০টি নদীর পাড় ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি হাই প্রোফাইল ইভেন্টের মধ্যে রাগবি বিশ্বকাপ ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেই ইভেন্টও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এদিন একটি বৈঠকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দল এখনও দিনরাত অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষয়ক্ষতি খুব বিশাল জায়গা জুড়ে হয়েছে। প্রায় ৩০,০০০ মানুষ এখনও ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে আটকে রয়েছেন। উদ্ধার করার পর সকলকে জরুরি পরিষেব প্রদান করাই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.