কর্মজীবন থেকে ব্যক্তিজীবন- অর্থনীতিতে নোবেল-জয়ী অভিজিত বন্দোপাধ্যায় সম্পর্কে রইল কিছু তথ্য


Odd বাংলা ডেস্কঃ আরও একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে বন্দিত হল বাংলার নাম, গর্বের দিন দেখালেন আরও এক বাঙালি। অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার পেলেন অভিজিত বন্দোপাধ্যায়। পুরো নাম অভিজিত বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়। তিনি একজন ইন্দো-মার্কিন অর্থনীতিবিদ। উন্নয়নমুলক অর্থনীতিতে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য নোবল পুরস্কার পেলন অভিজিত বন্দোপাধ্যায়। 

ফরাসি অর্থনীতিবিদ এস্থার ডুফ্লো এবং মার্কিন অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমার সঙ্গে এই নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন অভিজিত বন্দোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ফরাসি অর্থনীতিবিদ এস্থার ডুফ্লোর কিন্তু আরও একটা পরিচয় রয়েছে। সম্পর্কে তিনি অভিজিত বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রী। 

বর্তমানে অভিজিতবাবু ম্যাসাচুয়েটস ইন্সিটিচিউট অফ টেকনলজি-র ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের একজন আন্তর্জাতিক অধ্যাপক। পাশাপাশি তিনি আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশন ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতাও বটে। সেইসঙ্গে তিনি কনসোর্টিয়াম অন ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমস অ্যান্ড পোভার্টি এর একজন সদস্য। এখানেই শেষ নয় অভিজিতবাবু অর্থনীতি বিশ্লেষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ এর সভাপতিও ছিলেন। সেইসঙ্গে, সেন্টার ফর ইকোনমিক পলিসি রিসার্চ-এর একজন রিসার্চ ফেলো, কিএল ইনস্টিটিউট-এর একজন আন্তর্জাতিক রিসার্চ ফেলো। এছাড়াও আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব আর্টস এন্ড সায়েন্স এবং ইকোনোমেট্রিক সোসাইটিরও একজন রিসার্চ ফেলো। স্ত্রী এস্থার ডুফ্লোর সঙ্গে একযোগে তিনি একটি বইও রচনা করেছেন যার নাম, 'Poor Economics'। ভারতের বুকে আসন্ন বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি-বিষয়ক প্লাকসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা উপদেষ্টা বোর্ডের হয়েও কাজ করেছেন তিনি। 

তাঁর জন্ম মহারাষ্ট্রের ধুলেতে। তাঁর বাবা দীপক বন্দোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক। মা নির্মলা ব্যানার্জি ছিলেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর অধ্যাপক। কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৮৩ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বিএস ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে দিল্লীর জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর তিনি চলে যান হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে, পিএইচডি করতে। অর্থনীতিতে পিএইচডি করার সময়ে তার বিষয়টি ছিল "এসেস ইন ইনফরমেশন ইকোনমিকস"। 

ম্যাসাচুয়েচটস ইউনিভার্সিটি অব টেকনলজির সাহিত্যের অধ্যাপক ডঃ অরুন্ধতী তুলি বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিজিত বন্দোপাধ্যায়। তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। কিন্তু তাঁদের সেই বিয়ে টেকেনি। বিবাহ বিচ্ছেদ হয় দুজনের। পরে তাঁর গবেষণার সঙ্গী এস্থার ডুফ্লোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। প্রথমে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। তাঁদের দুজনের একটি সন্তানও রয়েছে। আর এবার তাঁরা একসঙ্গে নোবেল পুরস্কার লাভ করলেন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.