কেমন দেখতে ছিল সিন্ধু সভ্যতার মানুষ, এই প্রথমবার সেই মুখমণ্ডল ফুটিয়ে তুললেন বিজ্ঞানীরা
Odd বাংলা ডেস্কঃ পৃথিবীর ইতিহাসে সুপ্রাচীন সভ্যতাগুলির মধ্যে অন্যতম হল সিন্ধু সভ্যতা। কেমন ছিল সিন্দু সভ্যতার মানুষেরা, কেমনই ছিল তাদের জীবনযাত্রা ইত্যাদি নানা ইতিহাস বইয়ের পাতায় পড়েছে সকলেই। কিন্তু এবার বিজ্ঞানের ইতিহাসে এই প্রথমবার সিন্ধু সভ্যতার মানুষের মুখমণ্ডল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কীভাবে?
প্রসঙ্গত, রাখিগারহি কবরস্থান থেক উদ্ধার হওয়া প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরের পুরনো ৩৭টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, যার মধ্যে থেকে দুটির মুখমণ্ডল পুনর্নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও ব্রিটেনের ৬টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৫ জন বিজ্ঞানী এবং শিক্ষাবিদের সিন্ধু সভ্যতার মানুষের চেহারাকে নতুন করে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি পদ্ধতি ব্যবহর করে এবং ক্র্যানিওফেসিয়াল রিকনস্ট্রাকশন-এর সাহায্যে রাখিগারহি থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালদুটির মুখমণ্ডল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা।
অ্যানাটমিক্যাল সায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে এই সম্পূর্ণ কেস স্টাডিটি প্রকাশিত হয়েছে। গোটা বিষয়টির নেতৃত্ব প্রদান করেছে ডব্লউ জে লি এবং বসন্ত সিন্দে এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোস্যাইটিও এই কাজে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। রাকিগারহি এই প্রজেক্ট-এর অন্যতম মাথা তথা ডেকান কলেজ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বসন্ত সিন্দে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, এই প্রজেক্ট-এর রিপোর্টটি ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এতদিন পর্যন্ত কারওরই কোনও ধারণা ছিল না যে সিন্ধু সভ্যতার মানুষদের চেহারা ঠিক কেমন হয়। কিন্তু এখন খানিকটা হলেও মানুষের সেই ধারণা তৈরি হবে।
পাশাপাশি একথা বলাই বাহুল্য যে, সিন্ধু সভ্যতার মানুষদের চেহারা কেমন ছিল তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা সত্যি খুব কঠি ব্যপার, কারণ এখনও পর্যন্ত সিন্ধু সভ্যতার আমলের কবরস্থানগুলি নিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়ে ওঠেনি। এখও পর্যন্ত পাওয়া মাথার খুলিগুলি থেকে যেসমস্ত নৃতাত্বিক তথ্যগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি সিন্ধু সভ্যতার মানুষদের মখমণ্ডলের ধারণা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। তবে ক্র্যানিওফেসিয়াল রিকনস্ট্রাকশন টেকনলজির সাহায্যে যেভাবে উদ্ধার হওায়চা কঙ্কালগুলির ওপর মুখাবয়ব তৈরি করা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে একটা বিরাট ব্যপার। পাশাপাশি মুখমণ্ডলের ৩-ডি রিপ্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কঙ্কালদুটির মুখমণ্ডলের যে দুটি বৈশিষ্ট খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ককেশিয়ান ফিচার এবং রোমা নাক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
Post a Comment