গল্প নয়, সত্যি! আমাজনের জঙ্গলে আগুন লাগার কারণ কি না ফাস্ট ফুড!


Odd বাংলা ডেস্কঃ আমাজনের দহনের কথা নিশ্চয় এখনও সকলের স্মৃতিতে অম্লান। আর তা হওয়ারই কথা, কারণ পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় যে আমাজনের বৃষ্টি অরণ্যকে, সেই অরণ্যের দহনের ফলে ভাঁজ পড়েছিল পরিবেশবিদদের কপালে। কারণ এইভাবে আমাজন পুড়তে থাকলে তা পৃথিবীকে বিশ্ব উষ্ণায়নের আরও কাছে ঠেলে দেবে। 

কিন্তু এই আমাজনের দহনের জন্য যে বিষয়টিকে কার্যত দোষারোপ করা হচ্ছে সেই বিষয়টি জানলে কার্যত অবাকই হতে হয়। জানলে অবাক হবেন আমাজনে এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী হচ্ছে ফাস্ট ফুড। বড় বড় সমস্ত ফাস্ট ফুড সংস্থাগুলি পশুখাদ্য হিসাবে ব্যবহার করে থাকে এই সয়া। বিষয়টি আরও একটু স্পষ্ট করে বলতে গেলে বলা যায়, সারা বিশ্বে জঙ্গল ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হল এই সোয়ার চাষ। তাই যতদিন না ব্রাজিলের পরিবেশ আবার স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ব্রিটেনের সমস্ত বড় বড় ফুড চেইনকে এই সোয়া ব্যবহার করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গ্রিনপিস।  

এই প্রসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবসায়িক হিসাব বলছে, ২০১৮ সালে ব্রাজিল থেকে ব্রিটেনে প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পাউন্ড পরিমাণে সয়া রফতানি হয়েছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে যে, প্রতি বছর প্রয়া ২.৫ মিলিয়ন টন ওজনের সোয়া ব্রিটেনে যায়। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞদের দাবি আমাজন অরণ্যে যে আগুন লাগানো হয়েছে, তার অন্যতম কারণ হল সেখানে যাতে সোয়া চাষ এবং পশুপালন করা যায়। 

গ্রিনপিস হেড অব ফরেস্ট রিচার্ড জর্জ জানিয়েছেন, সমস্ত বড় বড় ফাস্ট ফুড কোম্পানিগুলি পশুখাদ্য হিসাবে এই সোয়া ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু তারা জানেনও না যে, কোথা থেকে এই সোয়াগুলি আসছে। এই সোয়া চাষের ফলেই অরণ্যের অধিকাংশই আজ ধ্বংসের মুখে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.