টাইফুনে আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা


Odd বাংলা ডেস্ক: টাইফুনে তাণ্ডবে নিখোঁজদের সন্ধান বুধবারও অব্যাহত আছে বলে জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। টাইফুনের সময় প্রবল বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বেড়ে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে অনেকের মৃত্যু হয় বলে এনএইচকে জানিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় টাইফুন হাগিবিস জাপানের প্রধান দ্বীপ হনশুর পূর্ব উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে এসে দেশটির মধ্য ও পূর্বাঞ্চলজুড়ে তাণ্ডব চালায়। কয়েক দশকের মধ্যে জাপানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী এ টাইফুনটির কেন্দ্র সরাসরি রাজধানী টোকিওর ওপর দিয়ে এগিয়ে যায়। টাইফুন হাগিবিসে ২২০ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি এটি আঘাত হানার প্রায় চার দিন পর এখনও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। হনশু দ্বীপের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ৫২টি নদীর পানি বেড়ে বন্যা হয়েছে। টোকিওর উত্তরে ফুকুশিমা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। অঞ্চলটির বাসিন্দারা বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত আসবাবপত্র ও আবর্জনা রাস্তায় এনে জড়ো করতে শুরু করেছেন। নিজেদের বাড়ি পরিষ্কার করতে অক্ষম অনেক বৃদ্ধ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রয়ে গেছেন। ডেট শহরের বাসিন্দা কৃষক মাসাও হিরাইয়ামা নিজের বাড়ির সামনের রাস্তায় ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়া বইয়ের স্তূপ জড়ো করেছেন। তার প্রতিবেশীরাও প্রচুর আবর্জনা রাস্তায় এনে জড়ো করে রেখেছেন। হিরাইয়ামা জানান, তার বাড়ি সাড়ে ছয় ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়, তাকে ও তার ছেলেকে নৌকাযোগে উদ্ধার করে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। টাইফুনের পুরো সময়টি তার স্ত্রী ও নাতি আত্মীয়দের আশ্রয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বন্যার তোড়ে তার সবগুলো সব্জি বাগান ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তার সব কৃষি সরঞ্জাম ভেসে গেছে জানিয়ে ৭০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ বলেন, “জমিটি ছাড়া আর কিছুই রেখে যায়নি।” দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার ৬৫ লাখ ডলার ব্যয় করবে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানিয়েছেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.