বাঙালিকে জাগিয়ে তুলেছে সৃজিত, ইতিহাসের চক্রব্যুহে তীর হয়ে বিঁধছে এই সিনেমা


Odd বাংলা ডেস্ক: সিনেমা হল হাউসফুল। লেক মলের সিনেপলিসে তো অষ্টমীর দিন তিলধারনের জায়গা ছিল না। এবং আপনারা যাঁরা এখনও সিনেমাটা দেখেননি তাদের বলা দরকার গোটা সিনেমাতে কোনো দর্শক ওই মোবাইলে কথা বলা বা চিপসের প্যাকেটে চড়মড় করে আওয়াজ করার মতো কান্ড ঘটায়নি। আর সবচেয়ে যেটা অবাক করা সেটা হল আজাদ হিন্দ ফৌজের জাতীয় গাঁথা শুনে পেছনের রো থেকে একজন উঠে দাঁড়িয়েছিলেন।  যদিও অন্য কাউকে দাঁড়িয়ে না থাকতে দেখে বেচারা তিনি বসে পড়েন। কিন্তু তাঁর এই অকস্মাত প্রতিক্রিয়া সিনেমাহলে থাকা অনেক মানুষকেই একটুু দোলা দিয়ে যায়। সবাই হয়তো মনে মনে ভেবেছিল দাঁড়ানো কি উচিত? এই যে এই ভাবনাটাকে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠা করা। এটাই তো গল্পকথক সৃজিতের সবচেয়ে বড়ো সাফল্য। 

ছবির নাম গুমনামি এবং তাতে নাকি আমাদের প্রসেনজিৎ নেতাজী হয়েছেন। বিষয়টাকে একটু সন্দেহের দৃষ্টিতে আমি দেখেছিলাম। মানে আমার অবস্থাও ওই চন্দ্রচূড়ের মতো। যত দেখলাম একটু একটু করে মেঘ গেল কেটে। "এক যে ছিল রাজা" -র সিনেমাটিক ল্যাঙ্গুয়েজের সঙ্গে কিছু মিল আছে। তবে এই সিনেমার ক্ষেত্রে সৃজিতকে আরও সাবধান থাকতে হয়েছে। স্পর্শকাতর বিষয়। 
গানটি চলার সময় লোকটি চেয়ার  ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়ে, Image Source: SVF

তবে সিনেমাতে চন্দ্রচূড়ের মুখে সৃজিত কিন্তু নিজের কথা বসিয়েছেন। এই সিনেমার পর সৃজিত কি বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়াবেন? সেটারও উত্তর আছে এই সিনেমাতেই।  তিনি কোনো দলের সমর্থক নন সেটাও তিনি বলে দিয়েছেন চন্দ্রচূড়ের মুখ দিয়ে। 

১৫-১৬ খানা ফিল্ম রিভিউ ইতিমধ্যেই গুমনামি কে লেখা হয়েছে। ফলে আবার সেই এক গল্প শোনানোর কোনো ইচ্ছে নেই। তবে যেটা গুরুতত্বপূর্ণ সেটা হল গুমনামি সিনেমার নাম হলেও শুধু গুমনামি বাবা যে এই সিনেমার কেন্দ্র তা কিন্তু নয়। মানে পরিচালক দর্শকদের বলে দেননি একবারও যে গুমনামি বাবা আসলে নেতাজি। স্পয়েলার দেওয়ার কোনো দরকার মনে করছি না। নিজে গিয়ে দেখে আসুন "গুমনামি"। দেখবেন সিনেমাহল থেকে বেরিয়ে দিব্যি নিজেকে ফুল বাঙালি ভাবছেন। আবার সেটা নিয়ে গর্বও করছেন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.