প্রায় ৫০০ বছর ধরে এই গ্রামে পূজিত হন মা কালীর চার বোন


Odd বাংলা ডেস্ক: পুরাণের বিভিন্ন গাঁথায় এমনকী লোকসমাজেও  হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে নানা গল্পকাহিনির কথা প্রচলিত রয়েছ। কিন্তু জানেন কি এই রাজ্যেই এক জেলায় পূজিত হন কালী ঠাকুরের চার বোন। বিষয়টি সত্যি একেবারে অন্যকরম। মা কালীর পুজো নিয়ে তো মাতামাতির শেষ নেই কিন্তু মা কালীর চার বোনের কথা কি কেউ শুনেছেন। 

বর্ধমানে অবস্থিত মেমারির আমাদপুর গ্রামে একসঙ্গে পূজিত হন দেবীর চার বোন- বড়মা, মেজমা, সেজমা ও ছোটমা। মায়ের চারবোন নাকি এই নামেই ভক্তের পুজো গ্রহণ করেন। কথিত রয়েছে, কয়েকশো বছরের পুরনো এই জনপদ আমাদপুর দিয়েই বয়ে গিয়েছে বেহুলা নদী। কালের নিয়মে তা আজ অনেকটাই মজে গিয়েছে। একসময়ে এই পথ দিয়েই বণিকরা বড় বড় জাহাজ নিয়ে যেতেন বাণিজ্য করতে। কিন্তু যাত্রা পথে এই এলাকাতে এসেই বণিকরা জলদস্যুর কবলে পড়তেন। নদীর ধারেই ছিল একটি শ্মশান, সেখানে এক সাধু কালীর সাধনা করতেন। এরপর বণিকরা জলদস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে এখানে এসে কালীর উপাসনা করতেন। 

এইভাবে পুজো করার ফলে বা কোনও এক মায়াবলে জলদস্যুর উপদ্রব কমে গেল, আরতার পর থেকেই বণিক সম্প্রদায় নিষ্ঠা ভরে মা কালীর পুজো করতে শুরু করলেন। এইভাবে মা কালীর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সারা গ্রামে। এইভাবে ছড়িয়ে পড়তে পড়তে এই গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মা কালীর নানা মূর্তি। বিভিন্ন নামে তাঁকে পুজো করা হয়। 

এইভাবেই এই গ্রামে পূজিত হন মা কালীর চার বোন বড়মা, মেজমা, সেজমা ও ছোটমা। দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তের ঢল নামে এই গ্রামে। বিসর্জনের দিন আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার। শুধু বর্ধমানই নয় অন্যান্য জেলা থেকেও ভক্তের ঢল নামে এই শোভাযাত্রা দেখার জন্য। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.