যমুনা তাঁর ভাই যমের সঙ্গে সহবাস করতে চেয়েছিল, যা আটকাতে যম ভাইফোঁটা নিয়েছিল


Odd বাংলা ডেস্ক:  শাস্ত্রে উল্লেখ এই অজানা তথ্যের বিষয়ে অনেক পাঠকই প্রশ্ন তুলতে পারেন। তাই আগেই উল্লেখ করা হচ্ছে এই সম্পর্কে আপনি সম্পুর্ন বিবরণ পেয়ে যাবেন ঋগ্বেদের ১০ম মণ্ডলের ১০ম সূত্রে। যম ও যমী ভাইবোন। এই যমীই হল যমুনা। সূর্যের ঔরসে বিশ্বকর্মা ত্বষ্টার কন্যা সরন্যূর গর্ভে জাত যমজ সন্তান- ভ্রাতাভগ্নি এঁরা৷ বলা হয়ে থাকে এরাই হল প্রথম মরণশীল মানব-মানবি। বড়ো হয়ে উঠেছে এক সঙ্গে, সখ্যে স্নেহে ও মিত্রতায়, বিস্তীর্ণ সমুদ্রমধ্যবর্তী একটি দ্বীপোদ্যানে৷ ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে উদ্যম হয়েছে যৌবন৷ যম বরাবর গম্ভীর ও ধীর৷ যমী লাস্য ও লাবণ্যে উজ্জ্বল এক আদিম নারী৷ কামার্তা যমী দ্বীপবর্তী নির্জন স্থানে ভ্রাতা যমের কাছে সহবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করছে৷ আর তার এই প্রার্থনায় সে কোনও দোষ দেখছে না, কারণ মাতৃগর্ভে যমজ সন্তান হিসেবে তারা তো পরস্পরের সঙ্গে একত্রবাস তথা সহবাসই করেছে৷ এবং এটাই বিধাতার ইচ্ছা যে তারা শারীরিক ভাবে মিলিত হয়ে সন্তানের জন্ম দিক৷ যম সংযত ভাবে উত্তর দিল, ভগিনী তুমি আমার সহোদরা, অতএব, অগম্যা৷ এটা আমাদের জন্য পাপ। তা ছাড়া সর্বত্রগামী দেবতারা আমাদের উপর নজর রাখছেন৷

যমী বহুবার যমকে প্রলুব্ধ করতে চেয়েছে। কিন্তু যম কোনো দিন নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়নি। এবং একটা সময় যমের মৃত্যু হয়। মৃত ভাই যমের আয়ু ভিক্ষা চেয়ে যমী তাঁর কপালো ফোঁটা দিয়েছিল।  কিন্তু ততদিনে যম পরলোকে গিয়ে নরকাধিপতি হয়ে গিয়েছে। যমী কেঁদেও তাঁর ভাইকে ফেরাতে পারেনি। সে মনে করেছিল যে যেহেতু যমী তাকে দিয়ে পাপ করাতে চেয়েছে তাই যমের মৃত্যু হয়েছে। সেই থেকে ভাইফোঁটার চল আছে মানুষের মধ্যে।ভাইয়ের মৃত্যু যেন না হয় এবং ভাই যাতে দীর্ঘায়ু পায় তাই এই বিশেষ রীতির চালু সনাতন ধর্মে। 


Blogger দ্বারা পরিচালিত.