হারিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের চাবি, গয়না খতিয়ে দেখতে অডিট বসানোর দাবি বিরোধীদের


Odd বাংলা ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের অভ্যন্তরে সঞ্চিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোনা-রুপো ও হীরের মতো মুল্যবান সব ধাতু। এই বহুমুল্য সব ধন-সম্পত্তি যে যে জায়গায় সঞ্চিত রয়েছে সেই রত্নভান্ডারের চাবি গিয়েছে হারিয়ে। আর সেই কারণেই মন্দিরের ভেতরে থাকা অমূল্য সব ধন-সম্পত্তি ঠিকঠাক রয়েছে কি না তার জন্যই অডিটের দাবি করলেন বিরোধী নেতারা। 

বিরোধী দলনেতা প্রদীপ্ত কুমার নায়েক মন্দিরের রত্নভান্ডারের তাৎক্ষণিক অডিটের দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মীত পুরীর এই জগন্নাথ মন্দিরের এই রত্নভান্ডারটি গত চার দশক ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতার দাবী রত্নভান্ডারে সঞ্চিত অমুল্য সবব ধনসম্পদ আদৌ ঠিক অবস্থায় রয়েছে নাকি তা চুরি গিয়েছে, তা দেখতেই এই অডিট করার ডাক দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, তাঁর এই দাবিতে যে ওড়িশা সরকার খানিকটা বিপাকেই পড়েছে একথা বলাই যায়। যদিও নায়েকের এই দাবির ডাকে ওড়িশা সরকার এখনও পুরোপুরিভাবে সাড়া দেয়নি।

অন্যদিকে, এই বিষয়ে কংগ্রেসের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা এই ভল্ট খোলার প্রসঙ্গে সাবধানবাণী জারি করেছেন, তাঁর কথায়, যেসব মানুষরা অডিটের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাঁরা পরীক্ষার নাম করে সোনা 'গিলে ফেলতে' পারেন অর্থাৎ অডিটাররাই সেইসব অমুল্য সম্পত্তি চুরি করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।  

তবে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে একটি চিঠি লিখে বিরোধী দলনেতা প্রদীপ্ত কুমার নায়েক জানান, 'আমি আপনাকে অনুরোধ করছি যে, অবিলম্বে একটি নীরিক্ষা পদ্ধতি পরিচালনা করার ব্যবস্থা করুন এবং আমাদের প্রভুর সম্পদ যে নিরাপদ, তা আশ্বস্ত করুন।' তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে খোলা উচিত এবং ১৯৭৮ সালে প্রস্তুত করা গয়নার তালিকা অনুসারে মিলিয়ে দেখতে হবে যে, সব গয়না ঠিকঠাক রয়েছে কি না। সূত্রের খবর, রত্নভাণ্ডারে আছে ১২৮ কেজি সোনার গয়না, ২২১.৫ কেজি রুপোর বাসনপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী। অন্তত ১৯৭৮ সালের এই তালিকাতে সেটাই উল্লেখ আছে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.