মাধ্যমিক ছয় বিষয়ে ফেল, ৩৫ রকম প্লেনের মডেল বানিয়ে তাক লাগিয়েছে এই কিশোর


Odd বাংলা ডেস্ক: ছোট থেকে একজন শিশুকে শেখানো হয় জীবনের প্রথম বোর্ডের পরীক্ষায় ভাল ফল করতেই হবে। কারম দশম শ্রেমীর বোর্ডের পরীক্ষাই ঠিক করে দেবে যে তাঁর ভবিষ্যত কোন খাতে বইবে অর্থাত সে নিজের জীবনে কতখানি সাফল্য অর্জন করতে পারবে। তারপর ধীরে ধীরে এইভাবেই একের পর এক পরীক্ষার চক্রব্যুহে জড়িয়ে পড়ে সে।  

আর কেউ যদি  জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়, তাহলে তো তার জীবন সেখানেই শেষ-অন্তত এমনই চিন্তাধারা পোষণ করে সমাজ। কিন্তু যত দিন যায় ততই স্পষ্ট হয় যে কাগজের মার্কশিটে নম্বরগুলি আজীবন ওই কাগজের মার্কশিটেই থেকে যায়। সেইরকমই গুজরাতের ১৭ বছরের এই কিশোর প্রমাণ করেছে যে বোর্ড পরীক্ষাই কারওর ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে না। 

গুজরাতের ভাদোদরার প্রিন্স পঞ্চল দশম শ্রেণীরো বোর্ড পরীক্ষায় অকৃতকার্য থেকেছে। কারণ ৬টি বিষয়েই পাশ নম্বর তুলতে পারেনি প্রিন্স। একদিন বাড়িতে বসেই ইন্টারনেটের সাহায্যে কিছু প্লেন তৈরির মডেল দেখছিল সে। এইভাবেই দেখতে দেখতে সে বানিয়ে ফেলেছে সবচেয়ে হালকা ওজনের প্রথম প্লেন, যার কাঁচামাল হল হোর্ডিং এবং ব্যানারে ব্যবহৃত ফ্লেক্স। 

শুধু তাই নয় প্রিন্সের একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে যেখানে সে নিয়মিত এই বিষয়ক ভিডিও আপলোড করে। তবে অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও বোর্ডের পীরক্ষায় ফেল করার জন্য আজও লোকের নান কথা শুনতে হয় প্রিন্সকে। তাই প্রিন্সের ইচ্ছা, কাজের পাশাপাশি বোর্ডের পরীক্ষাতেও সফল হওয়া। তবে একজন মানুষের প্রতিভা কি তার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে বিচার করা উচিত? আপনারা কী বলেন?
Blogger দ্বারা পরিচালিত.