ওড়িশার মাওবাদী এলাকায় গত ৫ বছরে মৃত্যু হয়েছে ৪৮০০ শিশুর, দায়ি অপুষ্টি!


Odd বাংলা ডেস্ক: তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে একজন সমাজকর্মী কিছু সরকারি নথির অধিকারী হয়েছেন, যা থেকে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ওড়িশার মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চল মালকানগিরি জেলায় ৪৮০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে যাদের প্রত্যেকের বয়স পাঁচ বছরের কম। 

স্বাস্থ্য বিভাগ দ্বারা পরিচালিত ২০১৪ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ওই জেলার জনসংখ্যা ছিল ৬৪১,৩৮৫, যাদের মধ্যে ৮০,০০০-এরও বেশি শিশু রয়েছে, যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম। জেলার প্রায় ১০০-রও বেশি শিশু মারা গিয়েছিল অ্যাক্যুট এনকেফালাইটিস-এ, পাশাপাশি ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে জাপানি এনকেফালাইটিসেও বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরগুলিতেও এখানে শিশুমৃত্যুর হার স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। 

প্রসঙ্গত, ওডিশায় প্রতি ১০০০-এ গড়ে ৪১টি শিশুর মৃত্যু হয়, যাদের বয়স ১ বছরের কম। সেখানে মালকানগিরিতে এই শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৫০। আর ভারতে এই শিশুমৃত্যুর হার প্রতি ১ হাজারে ৩২টি শিশু। অ্যাক্টিভিস্ট প্রদীপ প্রধান এই তথ্য বিশ্লেষণ করে জানানিয়েছেন, এই শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ হল অপুষ্টি। জানা গিয়েছে, এই শিশুমৃত্যুর হার ইঙ্গিত দেয় যে এই শিশুদের মধ্যে অনেকে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, নিউমোনিয়া এবং চিকিৎসার অপ্রতুলতা এবং স্বল্প পুষ্টির কারণে এখানে শিশুদের মৃত্যু হয়, যা মলকানগিরির জন্য খুবই সাধারণ- এমনটাই বলছে সরকারি নথি। 

সরকারি নথি অনুসারে, শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস করতে ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-এর মধ্যে সরকার ১.৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে এবং পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলি পরিচালনার জন্য আরও ১.২৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, যেখানে মালকানগিরির শিশুদের তীব্র অপুষ্টিজনিত শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক যত্ন নেওয়া হয়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.