বিতর্কিত এই দ্বীপে একা বসবাস করেন ৮১ বছরের এই বৃদ্ধা


Odd বাংলা ডেস্ক: সমাজের মধ্যে বসবাস করে বলে মানুষকে সমাজবদ্ধ জীব বলা হয়। কিন্তু একা একটি দ্বীপে বসবাস করেন ৮১ বছরের এক মহিলা, নাম কিম সিন-ইয়ল। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা আঞ্চলিক বিরোধের কারণে ১৯৯১ সালে নিজের স্বামীর সঙ্গে একটি নির্জন দ্বীপে বসবাস করতে শুরু করেন। 

দক্ষিণ কোরিয়া এটিকে ডোকডো দ্বীপপুঞ্জ বলে অভিহিত করে যা পূর্ব সাগরে অবস্থিত, অন্যদিকে জাপান আবার এই দ্বীপপুঞ্জকে তকোশিমা নামে অভিহিত করে এবং এর সংলগ্ন সাগর জাপান সাগর নামে পরিচিত। গত কয়েক বছর ধরে এই দম্পতিই হল এই ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জের একমাত্র বাসিন্দা। যদিও পুলিশ, লাইটহাউস অপারেটর এবং পর্যটকরা বিভিন্ন সময়ে এই দ্বীপপুঞ্জে যাওয়া-আসা করে। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে এই ৮১ বছরের এই বৃদ্ধাই হলেন এই আগ্নেয়গিরি দ্বারা বেষ্টিত এই দ্বীপের একমাত্র স্থায়ী বাসিন্দা। সেখান থেকে ফিরে আসার কোনও ইচ্ছাই তার নেই। তাঁর জামাইয়ের কথায় তিনি ডোকডোতে থাকতেই পছন্দ করে, সেখানকার পরিবেশ তাঁকে মানসিক শান্তি দেয়। এই কারণে চরম অসুস্থতার মধ্যেও এই দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবেননি কিম। 

কেন বিতর্ক রয়েছে এই দ্বীপপুঞ্জ ঘিরে? - বিতর্কিত এই দ্বীপটি নিয়ে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া- দুটি দেশের মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বজায় রয়েছে। জাপানের কথায়, দক্ষিণ কোরিয়া এই পাথুরে দ্বীপ অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে, যা কিনা সপ্তদশ শতক থেকেই তাঁদের সার্বভৌম অঞ্চল ছিল। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, এই জলের নীচে গ্যাস মজুত রয়েছে বলেই জাপান এটির অধিকার দাবি করে। দক্ষিণ কোরিয়ার আরও দাবি ১৯৫০-এর দশক থেকে এই দ্বীপপুঞ্জটি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং সেখানে সশস্ত্র পাহাড়াও ছিল। তবে ভৌগোলিক অবস্থানের নিরিখে দেখতে গেলে এই দ্বীপপুঞ্জটি জাপান অপেক্ষা কোরিয়ারই বেশি কাছে। এবং এর মূল ভূখণ্ডটি কোরিয়ানদের কাছে একটি পর্যচন কেন্দ্র হিসাবেই অধিক পরিচিত। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.