রসগোল্লা নিয়ে যখন এত বিবাদ, তখন বঙ্গ-ওড়িশাকে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে মুড়ি


Odd বাংলা ডেস্ক : বেগুনি, পেঁয়াজি, ফুলুরি হোক কিংবা গরম গরম তরকারি, মুড়ির সঙ্গে বাঙালির যেন আত্মার সম্পর্ক। দিনের বেলা জলখাবার হোক কিংবা নৈশভোজ, হাতের কাছে পেট ও মন ভার খাবার বলতেই প্রথমে নাম আসে মুড়ির। তবে বাঙালির বাটির মধ্যেই কিন্তু আবদ্ধ থাকেনি মুড়ি। খোঁজ নিলে জানতে পারবেন সুদুর লন্ডনের রাস্তাতেও বিক্রি হয় সুস্বাদু ঝালমুড়ি। 

দেশের বিভিন্ন জায়গার এর নামও আলাদা, কোথাও মুড়ি, কোথাও মুড়াই- নাম নির্ভর করে দেশের কোন প্রান্তে আপনি রয়েছেন তার ওপর। তবে নাম যাই হোক এক বাটি মুচমুচে মুড়ি আর সঙ্গে সামান্য তেল, লঙ্কা আর চানাচুর আর সামান্য পেঁয়াজ-ব্যস তাহলেই আপনার সন্ধ্যে সর্টেড! 

একদিকে রসগোল্লা নিয়ে যখন বাংলা আর ওড়িশার মধ্যে সম্পর্ক যখন আদায়-কাঁচকলায়, তখন এই একমাত্র খাবার, যা দুই রাজ্যের মধ্যে এখনও একটা যোগসূত্র হিসাবে কাজ করে। ওড়িশায় একটা খাবার খুবই প্রচলিত যার কথা শুনলেই এখুনি আপনার জিভে জল চলে আসবে, তা হল 'মুড়ি-মাংস'। সাদা মচমচে মুড়ির সঙ্গে কষা খাসির মাংস। সঙ্গে এক কুচি পেঁয়াজ আর খানিকটা লঙ্কা হলে পুরো ব্যাপারটাই জমে ক্ষীর, থুড়ি জমে ঝাল হয়ে যাবে! মাংসের সঙ্গে মুড়ি বিষয়টা একদিকে যেমন সুস্বাদু তেমনই খাবার হিসাবে অভিনবও বটে। 

ওড়িশার কটক ও ভুবনেশ্বরে বিখ্যাত রাস্তার খাবার হল এই মুড়ি মাংস, যার নাম 'মাটি হান্ডি মানসা-চাকুলি'। 'মাটি হান্ডি মানসা' হল খাসির মাংস, যা বিভিন্ন মশলার সাহায্য ম্যারিনেট করে মাটির পাত্রে এক ঘণ্টা ধরে রান্না করা হয়। এতে আলাদা করে কোনও ভাজা বা স্যতে করা বা প্রেসার কুকিং-এর প্রয়োজন পড়ে না। মাংস থেকে যে জল বের হয় তাতেই রান্না করা হয় এই মাংস। মাংস বাদামী রঙ হয়ে এলেই তৈরি হয়ে যায় 'মাটি হান্ডি মানসা'। রাস্তার ধারে দোকানগুলিতে এই মাংসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় মুড়ি। 

তবে আপনি যদি চান,তাহলে এই বঙ্গে বসেই এরস্বাদ গ্রহণ করতে পারেন।ভাত, রুটি-পরোটার সঙ্গে খাসির মাংস এক ঘেয়ে লাগলে এই যুগলবন্দি চেখে দেখতে পারেন কিন্তু। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.