আইনের দুই রক্ষকই একে অপরের শত্রু, তাহলে দেশের শত্রু নিধন করবে কে!


Odd বাংলা ডেস্ক: এদেশে পুলিশ ভুগছে নিরাপত্তাহীনতার অভাবে। তবে ছবি নতুন কিছু নয়। এরাজ্যে এর আগে বহুবার পুলিশের ভয় পেয়ে লুকিয়ে থাকার দৃশ্য স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার অভাবে পুলিশের এত বড় আন্দোলন এর আগে কেউ কোনওদিন দেখেনি। কারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়াই যার কাজ সেই পুলিশই কিনা নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করে আন্দোলনের পথে নেমেছেন। 

এদিন সকালে দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে প্রায় কয়েক শ' পুলিশকর্মী বিক্ষোভ শুরু করেছইল নিরব হয়েই, কিন্তু সময় যতই এগিয়েছে তা কার্যত আকার নেয় জনসমুদ্রের। সারাদিন ঘেরাওয়ের পর সন্ধেবেলা ইন্ডিয়া গেটে মোমবাতি মিছিল করেন পুলিশকর্মীরা, সঙ্গে ছিলেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে এই আশ্বাস পেয়েই সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ধর্না তুলে নেন পুলিশকর্মীরা। 

মূল ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার দুপুরে। সেদিন তিসহাজারি আদালত চত্বরে গাড়ি রাখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় আইনজীবীরা, যা হাতাহাতির আকার ধারণ করে। গুলিও চলে বলে অভিযোগ। কিন্তু পুলিশক্রমীদের দাবি, ওই ঘটনায় একতরফাভাবে পুলিশকর্মীদের শাস্তি দেওয়া হয় এবং ছাড় পেয়ে যান আইনজীবীরা। এরপর ৫ নভেম্বর সাকেত আদালতের সামনে আবারও এক কনস্টেবলকে মারধর করেন আইনজীবীরা। পুলিশদের ছাইচাপা ক্ষোভে পড়ে আগুন। তারপরেই রাস্তায় নামেন তাঁরা। 

দিল্লির পুলিশ কমিশনার আশ্বাস দিয়েছেন, পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আহতদের চিকিৎসাও প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেন। তবে এ নিয়ে ফের হুঁশিয়ারি জারি করেছে আইনজীবীরা। এদিকে আবার বার কাউন্সিলগুলির যৌথ মঞ্চের সিদ্ধান্ত, যেসব অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা গুলি চালিয়েছে তাদের গ্রেফতার করতেই হবে। আর তা না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট ছাড়া অন্য আদালতে কোনও কাজ হবে না৷ আইনের দুই রক্ষক যদি এইভাবে নিজেদের মধ্যে সমস্যা তৈরি করতে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের সমস্যা কে মেটাবেন? এর উত্তর কি আছে প্রশাসনের কাছে! 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.