ভাগাভাগি নয়, মুসলিমদের বিকল্প জমি দেওয়া হবে এবং শর্তসাপেক্ষে বিতর্কিত জমি পাবেন হিন্দুরা: সুপ্রিম কোর্ট



Odd বাংলা ডেস্ক: শিয়া ওয়াকঅফ বোর্ডের তরফে ১৯৪৬ সালে ফইজাবাদ কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে যে পিটিশন দাখিল করা হয়, তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বিচারপতিদের তরফে। রঞ্জন গগৈ ইতিমধ্যেই রায় পড়তে  শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত, পাঁচ বিচারপতি সমবেতভাবে এই সিদ্ধান্তে সমবেত হয়েছেন। 

রায় ঘোষণার সময়ে জানানো হয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে, প্রাচীন কাঠামো ইসলামিক রীতিতে তৈরি নয়। এবং তা যে কোনও মন্দিরের কাঠামো তাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফাঁকা জমির ওপর যে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়নি, অর্থাত কোনও একটা কাঠামোর ওপর তা তৈরি হয়েছিল,  সেই বিষয়ে নিশ্চিত আদালতও। পুরনো সেই কাঠামো ভাঙা হয়েছিল কিনা সেই বিষয়টি নিয়েও নিশ্চিত নয় আদালত।


প্রসঙ্গত, বিতর্কিত জমিটি কখনওই মুসলিমদের হাতছাড়া হয়নি, কিন্তু মুসলিমদের স্থায়ী স্বত্ত্ব রয়েছে এমন কথাও বলা যায় না। ওই জমির আইনি স্বত্ত্ব দেখাতে পারেননি মুসলিমরা। 

বাবরি মসজিদের বাইরের অংশে যা সীতা রসুই-তে হিন্দুুদের ধর্মাচরণ যুগ যুগ ধরে চলে এসেছে সেই নিয়ে কোনও সংশয় নেই, বলেও জানায় সুপ্রিমকোর্ট। প্রসঙ্গত, সীতা রসুই সীতার রাান্নাঘর  বলেই পরিচিত। সুপ্রিম কোর্টের রায়, মুলসিমদের বিকল্প জমি দেওয়া হবে। বিতর্কিত জমি শর্তসাপেক্ষে পাবেন হিন্দুরা। 

অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতেই হবে রামমন্দির। ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিমকোর্ট। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ৫ একর বিকল্প জমি পাবেন। তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রকে একটা ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। বিতর্কিত জমির ভিতরের অংশ ট্রাস্টের অধীনে থাকবে। ট্রাস্ট তৈরি করে জমির দেখভাল করবে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ ২.৭৭ একর জমি যে হিন্দুদের পক্ষে এবং তার দ্বীগুন জমি পেলেন মুসলিমরা। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.