ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী! টাকা তুলছেন হুকুম সিং


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর তারিখে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হল। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, দেশ থেকে কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

এই ঘটনার রেশ টেনেই মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড জেলায় ঘটে গিয়েছে এক অদ্ভুত ঘটনা। সেখানকার স্টেট ব্যাঙ্কের এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে দিনের পর দিন জমা হচ্ছে টাকা। আর এই ঘটনায় ওই গ্রাহক ভাবলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেরকমটা কথা দিয়েছিলেন, সেইরকমভাবেই হয়তো কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছেন! আসল ঘটনাটা অবশ্যই এইরকম ছিল না। জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের আলামপুরের স্টেট ব্যাঙ্কের শাখার ম্যানেজার রাজেশ শোনকর জানিয়েছেন, ভুলবশত একই অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যাঙ্কের দুজন গ্রাহককে দেওয়া হয়েছিল। 

এমন ভুল হওয়ার কারণ পাসবইতে রুরাই গ্রামের হুকুম সিং এবং রনি গ্রামের হকুম সিং- নামে দুই গ্রাহকের নাম থেকে শুরু করে পাসবইতে দেওয়া সমস্ত বিবরণ হুবহু এক। আলাদা ছিল কেবল তাদের চেহারা। যার অর্থ একই অ্যাকাউন্টের মালিক দুজন! স্টেট ব্যাঙ্কে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে রুরাই গ্রামের হুকুম সিং তাঁর এসবিআই অ্যাকাউন্টে টাকা জমাতে শুরু করেন, আর এদিকে রনি গ্রামের হুকুম সিং ম্যাজিকের মতো অ্যাকাউন্টে টাকা জমতে দেখে মনে করেছিলেন মোদীজী হয়চো তাঁকে টাকা পাঠাচ্ছেন এবং এইভাবে টাকা তুলতেও শুরু করেন তিনি। এইঊাবে হত ছয়মাসে ৮৯,০০০ টাকা তুলে নেন তিনি। 

এরপর নিজের টাকা তুলতে গিয়ে রুরাই গ্রামের হুকুম সিং দেখেন যে তাঁর অ্যাকাউন্টে মাত্র ৩৫,৪০০ টাকা রয়েছে, কিন্তু তাঁর হিসাব বলছে ব্যাঙ্কে তাঁর ১,৪০,০০০ টাকা থাকা উচিত। আর এরপরই গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জেরার মুখে রনি গ্রামের হুকুম সিং বলেন, তিনি ভেবেছিলেন নরেন্দ্র মোদী টাকা পাঠিয়েছেন, এবং টাকার তাঁর খুবই প্রয়োজন ছিল, সেই কারণেই অ্যাকাউন্টে আসা টাকা তিনি তুলে নিয়েছেন। তবে ব্যাঙ্ক কর্তারা তাদের তরফে ত্রুটি স্বীকার করেছে, তবে গোটা পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তা জানা যায়নি।   
Blogger দ্বারা পরিচালিত.