যে নামে একসময় কেঁপে উঠত ধরিত্রী, সেই দুর্ধস্ব ডাকাত-ডেরা চম্বলে গড়ে উঠতে চলেছে পর্যটন কেন্দ্র


Odd বাংলা ডেস্ক: একসময়ে যেখানে বসবস করত দুর্ধস্ব সব ডাকাত, যেখানকার গল্প রূপকথার মতো শোনালেও,যার আসল রূপ ছিল খুবই ভয়াবহ, একেবারে ভৌগোলিক এলাকার মতোই রুক্ষ, শুষ্ক- সেই চম্বলের বুকে গড়ে উঠতে চলেছে পর্যটন কেন্দ্র। 

বিভিন্ন সময়ে নামী-দামি জাকাতদের আঁতুড়ঘর ছিল মধ্যপ্রদেশের চম্বল, যা বর্তমানে পরিবেশ-বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রিন এগ্রিকালচার প্রজেক্ট-এর অংশ হিসাবে এই প্রকল্পটি গড়ে তোলা হবে, যার সঙ্গে জাতিসঙ্ঘের গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনও যুক্ত রয়েছে। 

গোটা এলাকাটির বাস্তুতন্ত্রের কোনও ক্ষতি না করেই শীঘ্রই যাতে এটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা যায় তারই চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সেখানকার প্রায় ২৬ মিলিয়ন হেক্টর জমি কৃষি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সেইসঙ্গে চম্বলের গিরিখাদগুলিকে নিয়ে গড়ে তোলা হবে পর্যটন কেন্দ্র। সেইসঙ্গে জাতীয় চম্বল অভয়ারণ্য, যাখানে ঘরিয়াল এবং গাঙ্গেয় ডলফিনের বাস- সেই জায়গাটিও পুনরুদ্ধার করা হবে। 

এর পাশাপাশি ২০১৯ থেকে ২০২৬ এর মধ্যবর্তী সময়ে দেশের আরও চারটি জায়গাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে - মিজোরামের ডাম্পা, ওড়িশার সিমলিপাল, রাজস্থানের বারমের ও জয়সলমীর এবং উত্তরাখণ্ডের করবেট-রাজাজি। এইসবগুলিই গ্রিন এগ্রিকালচার প্রজেক্টের অধীনেই করা হবে। এর জন্য গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি ৩৩.৫ মিলিয়ন ডলার (আনুমানিক ২৪০ কোটি টাকা) বরাদ্দ করেছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.