যে ৫ কারণে শীঘ্রই দিল্লিকে বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হতে পারে!


Odd বাংলা ডেস্ক: খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের পাশাপাশি বাঁচার জন্য পরিষ্কার বাতাস, বিশুদ্ধ জল এবং জমি খুবই দরকার। কিন্তু সাম্প্রতিক একাধিক বিষয় বলে দিচ্ছে যে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য এই নুন্যতম জিনিসগুলি দিতে অক্ষম রাজধানী দিল্লি। দেখে নিন ঠিক যে যে কারণে আর বাসযোগ্য নেই দিল্লি। 

১) বাতাসে বিষবাস্প- গত কয়েক বছরে শীতকাল এলেই দিল্লির বাতাসে দূষণের পরিমাণ থাকত চোখে পড়ার মতো। তবে এবছর তা প্রমাণ করে দিয়েছে এই দূষণ আর কেবল শীতকালে সীমাবদ্ধ নয়। দিল্লির বিষাক্ত বাতাস স্বাভাবিকের থেকে ১০-১২ বেশি অস্বাস্থ্যকর, যা একেবারেই মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য উপযুক্ত নয়। 

২) মৃতপ্রায় যমুনা নদী- সমগ্র দিল্লির জলের মুল উৎস হল যমুনা নদী। একটা সময় ছিল যখন দিল্লির অধিকাংশ মানুষই যমুনার জলেই নিজেদের প্রাত্যহ্যিক কাজকর্ম সারত। কিন্তু যমুনার জল ব্যবহার তো দূরে থাক তা স্পর্শ করাও এখন বিপজ্জনক। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বহুমুল্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট টেকনলজিও যমুনার দূষিত জলকে পরিষ্কার করতে পারবে না। কিন্তু দেখা গিয়েছে এখনও সাধারণ মানুষ এই বিষাক্ত দূষিত জলকেই নিত্যদিনের কাজে ব্যবহার করে। 

৩) মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তদের জন্য ব্যয়বহুল - মার্সার্স অ্যানুয়াল কস্ট অব লিভিং সার্ভে ২০১৯ অনুসারে, দেখা গিয়েছে ভারতের মধ্যে অন্যতম ব্যয়বহুল শহর হল দিল্লি। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মুম্বই। সেখানে দিল্লি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এইভাবে রাজধানী যেভাবে ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্চে তাতে করে এখানে মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তদের জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। 

৪) মহিলাদের ওপর বাড়তে থাকা অপরাধপ্রবণতা- বছরের পর বছর অপরাধমুলক কাজ বিশেষত মহিলাদের ওপর ঘটে চলা অপরাধপ্রবণতা প্রমাণ করে দিল্লি কতখানি বসবাসের অযোগ্য। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দিল্লির ৯৫ শতাংশ মহিলা জলবহুল স্থানেও নিজেকে অসহায় বলে মনে করেন। 

৫) ২০২০ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে ভূগর্ভস্থ জল- দিল্লিতে পানীয় জলের অন্যতম উৎস হল ভূগর্ভস্থ জল। আর সেই ভূগর্ভস্থ জলই শেষ হয়ে যেতে পারে ২০২০ সালের মধ্যে। ভারতের যে ২১ টি শহর ভূগর্ভস্থ জলের অপ্রতুলতায় ভূগবে তার মধ্যে দিল্লি অন্যতম। 

আরও পড়ুন- ভারতের রাজধানী দিল্লি, বাংলাদেশের ঢাকা, জানেন কি কীভাবে বেছে নেওয়া হয় কেনও দেশের রাজধানী
Blogger দ্বারা পরিচালিত.