তিলোত্তমার মুকুটে যোগ হল আর এক পালক, গিনেস বুকে নাম উঠল সায়েন্স সিটির


Odd বাংলা ডেস্ক: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলল সায়েন্স সিটি! মঙ্গলবার পঞ্চম ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সম্মানে ভূষিত হল সায়েন্স সিটি। 

এদিন সায়েন্স সিটিতে আয়োজিত জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান এবং স্পেকট্রোস্কেপ সম্পর্কিত একটি ক্লাসের আয়োজন করা হয়। আশা করা হয়েছিল সেই ক্লাসে যোগ দিতে আসতে পারেন ১৭৫০ জন পড়ুয়া। কিন্তু আদতে সেই সংখ্যাটা ছাড়িয়ে গিয়ে প্রায় আড়াই হাজার ছাত্রের সমাগম ঘটে সেই ক্লাসে। যা রাতারাতি গড়ে ফেলে রেকর্ড। আর এই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সম্মানে ভূষিত হয় ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স(আইইউসিএএ)। জানা গিয়েছে, এর আগে এত বেশি সংখ্যক ছাত্র- ছাত্রী নিয়ে কোনও ক্লাস আয়োজিত হয়নি। এ ঘটনা রেকর্ড গড়েছে আর তাই এই অনন্য সম্মান। 

এই উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আয়োজিত হয়েছিল বহু আলোচনাচক্র, প্রদর্শনী ও বিজ্ঞান কুইজ-এর, যাতে অংশগ্রহণ করেন বহু শিক্ষক ও ছাত্র–ছাত্রীরা। উত্তরদাতারা পেয়েছেন নানা পুরস্কার। এদিন বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় ‘‌ইয়ং সায়েন্টিস্টস কনফারেন্স’‌। পিডিলাইটের প্রেসিডেন্ট অনুভব সাক্সেনা এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে, কীভাবে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি গবেষণার কাজ শুরু করেন এবং তাতে সাফল্য লাভ করেন। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে পৃথিবীর প্রথম সারির সংস্থাগুলি চাকরির ক্ষেত্রে পিএইচডি-কে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই ভারতীয় পড়ুয়াদের আরও বেশি গবেষণায় উৎসাহ দিয়েছেন।

গবেষণার ক্ষেত্রটি আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেন ড.‌ শীলা রামকৃষ্ণা। তাঁর কথায়, চাকরি করার থেকে অনেক কঠিন হল গবেষণা। কারণ এতে কোনও ছুটি নেই। ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতে হয়। তবে বিদেশে এখন গবেষণার সুযোগ অনেক বেশি বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি এই বিশেষ সম্মান তিলোত্তমার মুকুটে যেন আর এক পালক জুড়ে দিল।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.