শুভ অনুষ্ঠানে তাঁরা ব্রাত্য! প্রথা ভেঙে, ছেলের বিয়েতে ১৮,০০০ বিধবাকে নিমন্ত্রণ করলেন এই ব্যক্তি

Odd বাংলা ডেস্ক: আমরা এমন একটা সমাজে বসবাস করি যেখানে বিধবাদের দিকে এক আলাদা নজরে তাকানো হয়। না সেই নজর যে সর্বদা সমাজের নীচু মানসিকতার পুরুষদের থেকেই আসে তা নয়। বিধবা মহিলাদের আজও অনেক ক্ষেত্রে একেবারে ব্রাত্য করে রাখা হয়। বিশেষত কোনও শুভ অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে-তে বিধবা মহিলাদের উপস্থিতি আজও বাঁকা নজরে দেখা হয়। তবে তা যে শুধু গ্রামেই নয়, শহরে আজও এই বিষয়টি নজরে পড়ে। 

কিন্তু এক জিতেন্দ্র প্যাটেল নামে এক ব্যবসায়ী, যিনি জীতু ভাই নামে বিশেষভাবে পরিচিত, তিনি কিন্তু সমাজের এই ট্যাবু ভেঙে নিজের ছেলের বিয়েতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন প্রায় ১৮,০০০ বিধবাকে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে অবাক করা, কিন্তু এটাই সত্যি। নিজের ছেলে রবির বিয়েতে ছেলে-বউকে আশীর্বাদ করার জন্য বাড়িতে প্রায় ১৮,০০০ বিধবাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। 

জিতেন্দ্র প্যাটেলের বাড়ি গুজরাতের পালানপুরে। বনসকন্ঠ, মেহসানা, সবরকণ্ঠ, পাটান, আরাবল্লি- এই পাঁচ জেলা থেকে এসেছিলেন বিধবারা। বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা প্রতিটি বিধবাকে একটি করে কম্বল এবং একটি করে চারাগাছ উপহার দিয়েছিলেন। তাঁরাও কথা দিয়েছিলেন যে, তাঁরা এইসব চারাগাছগুলি নিজেদের বাড়ির বাগানে লাগাবেন এবং তার যত্ন নেবেন। জীতু ভাইয়ের ইচ্ছে ছিল, ভারতীয় সমাজে বিধবাদের প্রতি অন্যায় আচরণ বন্ধ করা। সেই সূচনাটি তিনি করেছিলেন নিজের ছেলের বিয়েতেই।  

জীতু ভাইয়ের কথায়, তাঁর আন্তরিক ইচ্ছা ছিল যে নবদম্পতি বিধবাদের আশীর্বাদ লাভ করুক, যাদের বেশিরভাগই সমাজের দ্বারা অবহেলিত হয়। শুভ অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি একটি অশুভ হিসাবে বিবেচিত হয়, তবে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, এই সমস্ত বিশ্বাস কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.