ঘুম থেকে উঠেই গরম চায়ে চুমুক? ক্যান্সার নিশ্চিত


Odd বাংলা ডেস্ক: বাঙালি থেকে অবাঙালি, যুবক থেকে বয়স্ক, চা সকলের কাছে পছন্দের পানীয়। বিশেষ করে বাঙালি বাড়িতে সকালবেলা চায়ে চুমুক না পড়লে যেন দিনটাই মাটি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খবরের কাগজের সাথে চা চাই চাই। কেউ দুধ চা বা কেউ লিকার চা পান করে। কিন্তু চা মাস্ট। অনেকেই আছে যারা একদম ফোটানো চায়ে চুমুক দেয়।


কিন্তু গবেষণা বলছে অতিরিক্ত গরম চায়ে চুমুক দেওয়া স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি গবেষণা করে জানিয়েছে যে অতিরিক্ত গরম চা কন্ঠনালীর ক্যান্সারের অন্যতম কারন। গরম চায়ে চমুক মানে  ৯০ শতাংশ ঝুকি থাকে কন্ঠনালীর ক্যান্সারে।


কিন্ত যারা কম চা খান বা চা ঠান্ডা করে খান তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুকি নেই। শীতের সকালে এক কাপ গরম চায়ে চুমুক দিয়ে দিন শুরু করার মধ্যে একটা আলাদা আমেজ আছে। কিন্তু এই গরম চা দিনে দিনে আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।


আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন চা নিয়ে। তাতে দেখা গেছে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর গরম চা যদি কোনো মানুষ পান করে তাহলে কন্ঠনালীতে সেটি আঘাত করে। অবশ্য ৭০০ মিলিলিটার পান করলে সেটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।


কন্ঠনালী খুব নরম ইন্দ্রিয় হওয়ায় এতটা গরম সহ্য করতে পারে না, তাই কন্ঠনালীর কোষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সেই কারনে কন্ঠনালীতে ক্যান্সারের ঝুকি তৈরি হয়। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি উত্তর-পূর্ব ইরানের প্রায় ৫০০০০ মানুষের উপর এই গবেষণা চালিয়েছে।


ক্যান্সার সোসাইটির প্রধান ফারহাদ ইসলামির মতে বেশিরভাগ মানুষ গরম চা পান করতে পছন্দ করেন। কিন্ত গরম চা কণ্ঠনালী সহজে সহ্য করতে পারে না। শুধু গরম চাই না, যেকোনো গরম পানীয়, কফি বা অন্যকিছু কন্ঠনালী নিতে পারে না। আর যার ফলস্বরুপ ৯০ শতাংশ ক্যান্সারের ঝুকি তৈরি হয়।


সেক্ষেত্রে চা বা কফি বা অন্য কোনো গরম পানীয় একটু ঠান্ডা করে খেলে এই ঝুকি থাকে না। পৃথিবীতে যত ক্যান্সার আছে তার মধ্যে অষ্টম ও সাধারন ক্যান্সার হল কন্ঠনালীর বা গলার ক্যান্সার। যার জন্য গড়ে ৪ লক্ষ্য মানুষ মারা যায় প্রতিবছর। তার মধ্যে গরম চা বা কফিও একটা অন্যতম কারন। তাই একটু সতর্ক হলে আমরা এই ঝুকি এড়াতে পারি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.