যৌনজীবন সুন্দর করার পাশাপাশি, লেবুর এই অবাককরা গুণের কথা কি জানতেন?



Odd বাংলা ডেস্ক: লেবু ভিটামিন ‘সি’তে ভরা।সকালে খালি পেটে এক কাপ পাকা লেবুর রস মেশানো উষ্ণ জল খান, আর তারপর দেখুন না কি হয়।আর যদি যোগ হয় মধু, তাহলেতো জাদু।লেবুর কত গালভরা নাম কাগজি লেবু, পাতি লেবু, কমলা লেবু, মোসাম্বি লেবু, গন্ধরাজ, বাতাবি লেবু ও গোড়ালেবু। দেখুন, এককাপ লেবু-জলে কি পরিমান জাদু আছে। 
১) লেবুতে থাকে ইলেকট্রোলাইটস ( যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি)। লেবু-জল আপনাকে হাইড্রেট করে, শরীরে যোগান দেয় এইসব প্রয়োজনীয় উপাদানের।
২) হাড় জয়েন্ট ও ম্যাসল এর ব্যথা দ্রুত কমায় ।
৩) লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড। যা, আপনার হজম-তন্ত্রকে উন্নত রাখে।
৪) অন্য যে কোন খাবারের থেকে লেবু-জল ব্যবহারে লিভার অনেক বেশী পরিমানে, দেহের প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি করতে পারে।
৫) লেবু-জল টক্সিক উপাদান দূর করে লিভারকে পরিষ্কার রাখে।
৬) পেট পরিষ্কার ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে সহায়তা করে।
৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮) আপনার নার্ভাস-সিস্টেমে দারুণ কাজ করে। লেবু-জলের পটাশিয়াম আপনার বিষণ্ণতা ও উৎকণ্ঠা দূর করতে সহায়ক।
৯) লেবু-জল শরীরের রক্তবাহী ধমনী ও শিরাগুলিকে পরিষ্কার রাখে।
১০) উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
১১) শরীরের পি এইচ লেভেল উন্নত করে। পি এইচ লেভেল যত উন্নত, শরীর রোগের সাথে লড়াই করতে তত সক্ষম।
১২) ইউরিক এসিড সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
১৩) আপনার ত্বককে কর তোলে সুন্দর ও পরিষ্কার।
১৪) বুক-জ্বালা দূর করে।
১৫) কিডনী ও পাকস্থলীর পাথর দূর করতে অসাধারণ কার্যকর।
১৬) ওজন দ্রুত কমাতে সহায়তা করে। লেবুতে থাকে পেকটিন-ফাইবার যা খিদে নিয়ন্ত্রণ করে।
১৭) গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই ভালো লেবু-জল । এটা শুধু গর্ভবতীর শরীরই ভালো রাখে না, বরং গর্ভের শিশুর অনেক বেশী উপকার করে। লেবুর ভিটামিন 'সি' ও পটাশিয়াম শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক ও দেহের কোষ গঠনে সহায়তা করে।
১৮) দাঁতের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। দাঁত ব্যথা কমায়।
১৯) ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২০) মেটাবলিজম বা হজমশক্তি বাড়ায়। এতে ওজন কমাতেও প্রভাব পড়ে।ভূরিভোজের পর লেবু খেয়ে নিন। খাবারগুলো হজমে সাহায্য তো করবে।
২১) মুখের রুচি বাড়াতে লেবুর জুড়ি নেই।
২২) যাঁদের হালকা শ্বাসকষ্ট আছে, তাঁরা নিয়ম করে খাবারের আগে এক চামচ লেবুর রস খেতে পারেন। যাঁরা মাইল্ড অ্যাজমায় ভুগছেন, লেবুর রস তাঁদের জন্য ওষুধের বিকল্প হিসেবেই কাজ করবে।
২৩) যাঁরা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন দীর্ঘদিন, তাঁরা লেবু খাবেন নিয়ম করে। উষ্ণ কিংবা গরম জলতে লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খাবারের আধা ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন, উপকৃত হবেন।
২৪) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় আপনার দেহের কোষ ও ত্বককে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করে।
২৫) সাম্প্রতিক সময়ে এই সুগন্ধি সাবান, এয়ারফ্রেশনার ও নানা সুগন্ধি দ্রব্যে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ঔষধশিল্পেও এর ব্যবহার রয়েছে।

লেবুর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া :
যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাদের অতিরিক্ত লেবু খেলে বুক জ্বালা করে।
যে কোন মানুষের পরিমিত লেবু খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো কিন্তু অতিরিক্ত লেবু স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।
হালকা সবুজ রঙের লেবুকে মনে করা হয় সতেজতার প্রতীক। বাইরে থেকে দেখতে যতোটা সুন্দর, লেবুর কার্যকারিতাও তেমন। লেবুতে ভিটামিন সি ছাড়াও রয়েছে ফ্ল্যাভনয়েডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানসমূহ। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই সালাদ, জুস, রান্নাবান্না, চিকিৎসাসহ অগণিত ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় লেবু। চলুন জেনে নিই লেবুর কিছু উপকারিতা-
১. হজমে সমস্যা এবং পেট ফাঁপায় লেবু ওষুধের মতো কাজ করে।
২. প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক বা জীবাণুনাশক হিসেবে লেবুর ভূমিকা অসামান্য। ব্রণ, মেছতা বা কোন দাগ দূর করতে লেবু ব্যবহার করা হয়।
৩. ভোরে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানিতে লেবু ও সামান্য মধু মিশিয়ে নিয়মিত পানের অভ্যাস বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
৪. লেবুর সরবত অবসাদ বা ক্লান্তি এবং মাথাঘোরা ভাব দূর করে।
৫. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে লেবু এবং দীর্ঘক্ষণ সজীব রাখে।
৬. ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বকের নানা সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বককে সতেজ রাখে।
লেবুর অনেক গুণ। লেবুর শরবত একটি আদর্শ স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। লেবুর কদরও সাধারণত এর রসের জন্যেই। তবে এটি রান্না করেও খাওয়া যায়। লেবু হলো সাইট্রাস লিমন (Citrus limon)। বংশবৃদ্ধিকারী টিস্যু আবৃতবীজী লেবুর বীজকে ঘিরে রাখে। লেবুর রসে প্রায় ৫ শতাংশ (প্রতি লিটারে ০.৩ মোলের কাছাকাছি) সাইট্রিক এসিড থাকে; যার কারণে এর স্বাদ টক হয় এবং pH ২-৩ হয়।
লেবুর ভেতর থেকে বাইরের খোসা পর্যন্ত পুরোটাই অনেক গুণে গুণান্বিত। ওজন কমানো থেকে শুরু করে মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতেও লেবুর জুড়ি নেই। এ পর্বে জেনে নিই লেবুর গুণাগুণ ও তার বহুমাত্রিক ব্যবহার সম্পর্কে।
মাঝারি আকৃতির একটি লেবু থেকে চল্লিশ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড পাওয়া যায়; যা একজন মানুষের দৈনিক চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট। ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে বা ক্ষত হলে দ্রুতগতিতে কোলাজেন কোষ উপাদান তৈরি করে। ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে এই ভিটামিন ‘সি’। লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাইট্রিক এসিড বিদ্যমান; যা ক্যালসিয়াম নির্গমন হ্রাস করে পাথুরী রোগ প্রতিহত করতে পারে। লেবুর খোসার ভেতরের অংশে ‘রুটিন’ নামের বিশেষ ফ্ল্যাভানয়েড উপাদান আছে; যা শিরা এবং রক্তজালিকার প্রাচীরকে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সুরক্ষা দেয়। ফলে স্বভাবতই হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। রান্নায় বা আহারে লেবুর ব্যবহার বিজ্ঞানসম্মতভাবেই স্বাস্থ্যপ্রদ।
লেবুর অন্যান্য ব্যবহারও কম নয়। ত্বক বা রূপচর্চায় লেবুর ব্যবহার ঐতিহ্যগতভাবেই সুপ্রচলিত। বয়সজনিত মুখের স্পট বা দাগ সারাতে লেবুর রস যথেষ্ট কার্যকরী। লেবুর রস ব্যবহারে মুখের ব্রণও দ্রুত সারে। বাজারের ভেজাল মিশ্রিত পানীয় না খেয়ে টাটকা লেবুর রসের সাথে সামান্য চিনি বা মধু মিশিয়ে লেমোনেড তৈরি করা হয়; যা একই সাথে তৃষ্ণা মেটায়।
লেবুর খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, পেকটিন, ফাইবার এবং মিনারেলস। লেবুর রসের এসব উপাদান শরীরের নিরাময় এবং আরোগ্যে কাজ করে। লেবুর খোসা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। এর মধ্যে পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। লেবুর খোসায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডা, ফ্লু এবং গলার ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর খোসার মধ্যে উপস্থিত ফাইবার বা আঁশ অন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে এবং বাউয়েল মুভমেন্ট ভালো করে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফোলাভাব রোধেও সহায়তা করে। লেবুর খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে যে পেকটিন রয়েছে তা অন্ত্রের শর্করা শোষণ করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্যও লেবুর খোসা বেশ ভালো। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিপাকে সাহায্য করে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। শরীরের দৈনিক ভিটামিন সি-এর চাহিদার ৩০ শতাংশ লেবু পূরণ করতে পারে। ভিটামিন সি-এর আছে নিরাময় ক্ষমতা। এটি প্রোটিনের বাঁধনে সাহায্য করে, যা টেনডনস, লিগামেন্ট এবং ত্বকের জন্য ভালো। লেবুর খোসা কালো দাগ, বলি রেখা, বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।
সকাল বেলা খালি পেটে এক কাপ কুসুম গরম লেবুপানি পান করা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এতে শরীরের অনেক জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ লেবুর রস শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় লেবু।
লেবু লিভার সুস্থ রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। লেবুর পানি লিভারে থাকা পরিপাক সংক্রান্ত এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে খাবার সহজে হজম হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে লেবুর উপকারিতা অনস্বীকার্য। লেবু রক্তের অক্সিজেন পরিবহনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়।
সাধারণত কিডনির পাথরগুলো ছোট আকারের হয় এবং তা মূত্রের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু এই পাথর বড় হলে তা আমাদের মূত্রথলিতে জমা হয় এবং প্রচুর ব্যথার সৃষ্টি করে। কিডনিতে পাথর হওয়া ঠেকাতে লেবুর রসের উপকারিতা অপরিসীম। লেবুর রস আমাদের শরীরকে রিহাইড্রেট করে এবং কিডনিতে পাথর তৈরিতে বাধা দেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে লেবুর উপকারিতা অনেক। সকালে উঠে কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ধ্বংস হয়। নিয়মিত এ পানীয় খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
গবেষণায় পাওয়া গেছে, লেবুর ভেতরে এমন অনেক উপাদান আছে; যা শরীরে টিউমার তৈরি হতে বাধা দেয়।
লেবু পানি শরীরে এক ধরনের প্রশান্তির সৃষ্টি করে। ফলে এটা আপনাকে দুশ্চিন্তা, হতাশা থেকে মুক্ত রাখে। লেবু শুধু শরীরে সজীবতা আনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও লেবু কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
লেবুর খোসারও রয়েছে বেশ কয়েকটি অসাধারণ ব্যবহার :
এটি সিঙ্ক এবং বাথটাব পরিষ্কার করে। সিঙ্কে বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিয়ে লেবুর খোসা দিয়ে ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করলে সিঙ্কের সব রকম দাগ চলে যায়। এমনকি সিঙ্ক নতুনের মতো চকচকে হয়ে উঠবে।
শুনতে আজব লাগলেও মশা তাড়াতে বেশ কার্যকর লেবু। এজন্য লেবুকে দুইভাগ করে কেটে নিয়ে কাটা অংশে লবঙ্গ গেঁথে নিতে হবে। তারপর ঘরের একটি স্থানে রেখে দিন। মশার উপদ্রব থেকে দূরে থাকা যাবে।
পিঁপড়া দূর করতে কয়েক টুকরা লেবুর খোসা জানালার কোণে, দরজার কোণে বিশেষ করে যেখান দিয়ে পিঁপড়া এবং অন্যান্য পোকামাকড় আসে সেদিকে রেখে দিন। দেখবেন পিঁপড়া তেমন একটা আসছে না। কারণ পিঁপড়া এবং অন্যান্য পোকামাকড় লেবুর গন্ধ একদম সহ্য করতে পারে না।
ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে একটি বা দুটি লেবুর খোসা রেখে দিলে দেখা যায়, ফ্রিজের ভেতরের দুর্গন্ধ দূর হয়ে গেছে।
লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড; যা থালাবাসন চকচকে করতে সাহায্য করে। থালা বাসন পরিষ্কার করার সময় ডিশওয়াশারের সাথে লেবুর খোসা দিয়ে থালাবাসন ঘষুন। এটি থালাবাসনের দাগ দূর করে নতুনের মতো করে তুলবে। এমনকি কাঁচের গ্লাস ও প্লেটও এভাবে পরিষ্কার করা যায়।
কাটা আপেল বা অ্যাভোকাডোকে বাদামি রং হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে লেবু। এজন্য কাটা অংশটিতে লেবু মাখিয়ে রাখতে হবে।
মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার করতেও লেবুর ব্যবহার করা হয়। একটি পাত্রে পানি নিয়ে লেবুর রস দিয়ে মাইক্রোওয়েভে দিতে হবে। বলক আসা পর্যন্ত ফুটতে থাকবে। এরপর একটি সুতি কাপড় দিয়ে মাইক্রোওয়েভের ভেতরটা পরিষ্কার করে ফেললে দেখা যাবে খুব সহজেই ভেতরটা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
ত্বকের দাগ দূর করতে লেবুর খোসা অতুলনীয়। লেবুর খোসায় অল্প মধু নিয়ে পুরো মুখে ভালো করে ঘষে নিন। হাত ও পায়েও ঘষে নিতে পারেন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত হবে।
এক টুকরো লেবুর খোসা নিয়ে এর ভেতরের অংশ দিয়ে ২ মিনিট দাঁত ঘষুন। এরপর কুলি করে ফেলুন। তাৎক্ষণিক ফলাফল পাওয়া যাবে।

বাতাবি লেবুর গুণাগুণ
লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে বাতাবি লেবু একটি পুষ্টিকর সুপরিচিত ফল। দেশের অনেক স্থানেই এটি জাম্বুরা, কোলম বা বাতাবি নামে পরিচিত। এ দেশের সব অঞ্চলেই কম-বেশি এ ফলের চাষ হয়। বাতাবি লেবু ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল। এতে ভিটামিন-সি রয়েছে ১০৫ মি. গ্রাম, যেখানে লেবুতে রয়েছে ৬৩ মি. গ্রাম, কমলাতে ৬৪ মি. গ্রাম, কামরাঙ্গায় ৬১ মি. গ্রাম। আমলকী এবং পেয়ারা বাদে অন্য সব ফলের চেয়ে বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে বাতাবি লেবুতে। ভিটামিন-সি দেহের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এর রাসায়নিক নাম এসকরবিক অ্যাসিডি। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম (খাদ্যোপযোগী) বাতাবি লেবুতে ভিটামিন-সি বাদে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো_ শ্বেসার-৮.৫ গ্রাম, আমিষ-০.৫ গ্রাম, স্নেহ-০.৩ গ্রাম, ভিটামিন-বি ০.০৬ মি. গ্রাম, ভিটামিন-বি২ ০.০৮ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৭ মি. গ্রাম, আয়রন ০.২ মি. গ্রাম, ক্যারোটিন-১২০ মাইক্রোগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩৮ কিলো ক্যালরি। বাতাবি লেবুতে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ এবং রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে। এই ভিটামিন বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ইনফেকশন, সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা করে এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ভিটামিন-সি দেহের ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে দেহের ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে। এর অভাবে ত্বক খসখসে ও শক্ত হয়ে পড়ে। ভিটামিন-সি এর অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত ও পুঁজ নির্গত হয়। এই সমস্যাকে বলা হয় স্কার্ভি। স্কার্ভি হলে অকালে দাঁত পড়ে যায়। গর্ভবতী মা এবং গর্ভস্থ শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন-সি, ক্যারোটিন থাকায় এটি অ্যান্টি অঙ্েিডন্ট হিসেবে কাজ করে দেহের বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। ভিটামিন-সি এর অভাবে রক্তস্বল্পতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়, রক্তপাত হলে সহজে বন্ধ হয় না, শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ভিটামিন-সি মুখগহ্বর, পাকস্থলি, ফুসফুস, অগ্নাশয় এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। বাতাবি লেবুতে পর্যাপ্ত রস ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত স্কোয়াশ ও জেলি প্রস্তুতে এটি ব্যবহৃত হয়। বাতাবি লেবুর রস ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। সুতরাং ভিটামিন-সি এর চাহিদা পূরণে আমাদের দেশেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল বাতাবি লেবু, পেয়ারা, আমলকী, আমড়া, লেবু, কামরাঙ্গা, পাকা পেঁপে, কুল, জলপাই ইত্যাদি রয়েছে, ফলে বিদেশ থেকে বেশি দামে কমলালেবু আমদানি করার প্রয়োজন নেই। আমাদের ব্যাপকভাবে দেশি ফল চাষ করার দিকে সচেতন এবং যত্নবান হতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে লেবুর উপকারিতা

লেবুর ভিতর থেকে বাইরের খোসা পর্যন্ত পুরোটাই অনেক গুণে গুণান্বিত। ওজন কমানো থেকে শুরু করে মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে লেবুর জুড়ি নেই। জেনে নিন লেবুর গুণাগুণ ও তার বহুমাত্রিক ব্যবহার সম্পর্কে। শরীরের জীবাণু ধ্বংস করা : সকাল বেলা খালি পেটে এক কাপ কুসুম গরম লেবুপানি পান করা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এতে আপনার শরীরের অনেক জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ লেবুর রস শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে।
এ ছাড়া আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় লেবু। লিভার সুস্থ রাখে এবং হজমে সাহায্য করে : লেবুর পানি লিভারে থাকা পরিপাক সংক্রান্ত এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে খাবার সহজে হজম হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে লেবুর উপকারিতা অনস্বীকার্য। লেবু রক্তের অক্সিজেন পরিবহনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। কিডনির পাথর রোধ করে : সাধারণত কিডনির পাথরগুলো ছোট আকারের হয় এবং তা মূত্রের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু এই পাথর বড় হলে তা আমাদের মুত্রথলিতে জমা হয় এবং প্রচুর ব্যথার সৃষ্টি করে।কিডনিতে পাথর হওয়া ঠেকাতে লেবুর রসের উপকারিতা অপরিসীম। লেবুর রস আমাদের শরীরকে রিহাইড্রেট করে এবং কিডনিতে পাথর তৈরিতে বাধা দেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : লেবুর মধ্যে থাকে সাইট্রাস বায়োফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন সি এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস্ যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : ওজন নিয়ন্ত্রণে লেবুর উপকারিতা অনেক। সকালে উঠে কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ধ্বংস হয়। নিয়মিত এ পানীয় খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক : গবেষণায় পাওয়া গেছে লেবুর ভেতরে এমন অনেক উপাদান আছে যা শরীরে টিউমার তৈরি হতে বাধা দেয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে লেবুর উপকারিতা সীমাহীন। রক্তচাপ এবং দুশ্চিন্তা কমায় : লেবু পানি শরীরে এক ধরনের প্রশান্তির সৃষ্টি করে। ফলে এটা আপনাকে দুশ্চিন্তা, হতাশা থেকে মুক্ত রাখে। লেবু শুধু শরীরে সজিবতা আনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং আপনার রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণেও লেবু কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
অনেক সময় জামা-কাপড়ে ঘামের দাগ পড়ে যায়। বিশেষ করে বগলের কাছে বাজে ধরনের ঘামের দাগ পড়ে। এতে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। এই দাগ উঠাতে একটি অর্ধেক রস বের করে নেয়া লেবু ঘষে নিন। এরপর দাগের উপর বেকিং সোডা ছিটিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ঘামের দাগ একেবারে উধাও হয়ে যাবে।
খুব পরিচিত একটি খাবার। লেবুর ভিতর থেকে বাইরের খোসা পর্যন্ত পুরোটাই অনেক গুণে গুণান্বিত। ওজন কমানো থেকে শুরু করে মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে লেবুর জুড়ি নেই। জেনে নিন লেবুর গুণাগুণ ও তার বহুমাত্রিক ব্যবহার সম্পর্কে।

১।লিভার সুস্থ রাখে এবং হজমে সাহায্য করে : লেবুর পানি লিভারে থাকা পরিপাক সংক্রান্ত এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে খাবার সহজে হজম হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে লেবুর উপকারিতা অনস্বীকার্য। লেবু রক্তের অক্সিজেন পরিবহনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়।

২।কিডনির পাথর রোধ করে : সাধারণত কিডনির পাথরগুলো ছোট আকারের হয় এবং তা মূত্রের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু এই পাথর বড় হলে তা আমাদের মুত্রথলিতে জমা হয় এবং প্রচুর ব্যথার সৃষ্টি করে। কিডনিতে পাথর হওয়া ঠেকাতে লেবুর রসের উপকারিতা অপরিসীম। লেবুর রস আমাদের শরীরকে রিহাইড্রেট করে এবং কিডনিতে পাথর তৈরিতে বাধা দেয়।
৩।ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক : গবেষণায় পাওয়া গেছে লেবুর ভেতরে এমন অনেক উপাদান আছে যা শরীরে টিউমার তৈরি হতে বাধা দেয়। ক্যান্সার প্রতিরোধে লেবুর উপকারিতা সীমাহীন।

৪।রক্তচাপ এবং দুশ্চিন্তা কমায় : লেবু পানি শরীরে এক ধরনের প্রশান্তির সৃষ্টি করে। ফলে এটা আপনাকে দুশ্চিন্তা, হতাশা থেকে মুক্ত রাখে। লেবু শুধু শরীরে সজিবতা আনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং আপনার রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণেও লেবু কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৫।শরীরের জীবাণু ধ্বংস করা : সকাল বেলা খালি পেটে এক কাপ কুসুম গরম লেবুপানি পান করা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এতে আপনার শরীরের অনেক জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ লেবুর রস শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। এ ছাড়া আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় লেবু।
৬।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : লেবুর মধ্যে থাকে সাইট্রাস বায়োফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন সি এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস্‌ যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৭।ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : ওজন নিয়ন্ত্রণে লেবুর উপকারিতা অনেক। সকালে উঠে কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ধ্বংস হয়। নিয়মিত এ পানীয় খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

খুশকির সমস্যা - কাগুজি লেবু ,মেথি বা পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন।
কাগুজি লেবুর গুণাগুণ


কাগজি লেবু ব্যবহারঃ ঘুমানোর আগে মুখে কাগজি লেবুর রস মাখুন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন । মুখ ব্রন মুক্ত থাকবে।
নারকেল তেল ২০০ গ্রাম গরম করে নিন। এতে কাগুজি লেবুর রস ৪ চা চামচ মেশান। চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চুলে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল লাগান। খুশকি দূরের পাশাপাশি চুল হবে কোমল ও ঝলমলে।
মেথি
মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মেথি লাগান। অথবা
নারকেল তেল গরম করুন। এরপর এতে মেথি গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন।
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজ বেটে নিয়ে রস ছেঁকে নিন। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মাথায় পেঁয়াজের রস লাগান।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.