সুমো ফাইটারদের শেষ জীবনে কী হয়?


Odd বাংলা ডেস্ক: জাপানে সুমো কুস্তির কর্তৃপক্ষ 'শুধুমাত্র পুরুষদের' এই খেলা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। এই খেলাকে ঘিরে সম্প্রতি কিছু কেলেঙ্কারির পর জাপান সুমো এসোসিয়েশন এক বৈঠকে বসেছিল এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে। কিন্তু কোন সিদ্ধন্তের কথা তারা ঘোষণা করতে পারেনি। অতি সম্প্রতি কয়েকজন নারী রিং-এ উঠেছিলেন একজন পুরুষকে সাহায্য করতে কিন্তু তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। এই ঘটনার পর নারী পুরুষের বিষয়টি আবারও সামনে চলে আসে।

সুমো জাপানের জাতীয় খেলা হিসেবে পরিচিত। প্রতিযোগিতামূলক ও পূর্ণাঙ্গরূপে সংস্পর্শযোগ্য খেলা হিসেবে দু'জন প্রতিযোগী একে-অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এবং তাদের মধ্যে একজন কুস্তিগীর (রিকিশি) জোরপূর্বক অন্য কুস্তিগীরকে বৃত্তাকার চক্র বা দোহাইও'র বাইরে ফেলা কিংবা ভূমি স্পর্শ করার চেষ্টা করে থাকেন।

কিন্তু জানেন কি এই সুমো প্রস্তুতির নিয়মটা বিরাট। মাত্র ১৫-১৬ বছর বয়সে তাদের ট্রেনিং শুরু হয়ে যায়। সকালবেলা ব্রেকফাস্ট স্কিপ করে। তারপর দুপুরবেলা পেট পুরে খাওয়ানো হয়। অতিরিক্ত বিয়ার পান করানো হয়। এবং চাকো নাবে নামক একটি খাবার পাওয়া যায় জাপানে সেটা খাওয়ানো হয়। এতে তাদের ওজন বাড়তে থাকে। এবং বয়স ২৫ হতে হতে তারা ১০০ কেজি ওজনে পৌছে যায়। 

কিন্তু এই যোদ্ধাদের শেষ জীবন হয় খুব কষ্টের। কম বয়সে খাওয়ার পাশাপাশি তারা ট্রেনিংও জারি রাখে। কিন্তু ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা খাওয়ার পরিমান বাড়িয়ে দেয়। যে কারনে শেষ বয়সে তারা হাঁটা চলার ক্ষমতা হারিয়ে দেয়।  কারও কারও শরীরের ভেতরের অঙ্গ নষ্ট হয়ে যায় এবং তাদের মৃত্যুও হয়।     
Blogger দ্বারা পরিচালিত.