যে ৫ বিচারপতি হাত ধরে প্রকাশিত হল অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়, চিনে নিন তাঁদের


Odd বাংলা ডেস্ক: ৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখটি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবে। কারণ আজকের দিনেই প্রকাশিত হল অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়। আর যে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ আজ এই রায় প্রদান করলেন সেই বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল চলচি বছরের ৮ জানুয়ারি। এরপর অগাস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ম্যারাথন শুনানির পর আজ অবশেষে অযোধ্যা মামলার রায় প্রদান করা হল। 

যে পাঁচ বিচারপতির হাত ধরে এই রায় প্রকাশিত হল, তাঁরা হলেন- 

১) সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ- ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের ৪৬তম এবং বর্তমান বিচারপতি হলেন রঞ্জন গগৈ। ২০১৮ সালে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে যে চার বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে রঞ্জন গগৈ অন্যতম। তবে তাঁর বেশকিছু রায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল এবং একইসঙ্গে সমালোচিতও হয়েছিল। 

২) বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে- ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর অবসরের পর বোবদেই হতে চলেছেন সুপ্রিমকোর্টের ৪৭ তম প্রধান বিচারপতি। এর আগে তিনি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ২০১৩ সালে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নির্বাচিত হন বোবদে। অযোধ্যা জমি মামলার পাশাপাশি আধার অর্ডিন্যান্স, গোপনীয়তার মৌলিক অধিকার এবং ৩৭০ ধারার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও তাঁর অবদান রয়েছে। 

৩) বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়- ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে কাজ করেন। ২০১৬ সালে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। সুপ্রিম কোর্টে আধার সংক্রান্ত মামলায় বেঞ্চের সদস্যও ছিলেন তিনি। তাঁরা বাবা ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ও একজন বিখ্যাত আইনজীবি ও বিচারপতি ছিলেন। 

৪) বিচারপতি অশোক ভূষণ- উত্তরপ্রদেশের বার কাউন্সিলের আইনজীবি হিসাবে ১৯৭৯ সালে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। কেরালা হাইকোর্টের ৩১ তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। সংসদীয় প্রতিবেদনের বিচারিক প্রাসঙ্গিকতা, দিল্লিতে আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত মামলা, সংবিধানের আধার আইনে বিশেষ ভূমিকা ছিল তাঁর। 

৫) বিচারপতি এস আবদুল নাজির- কর্ণাটক হাইকোর্টে বিচারপতি আবদুল নাজির প্রায় ২০ বছর প্র্যাকটিস করেছেন। যদিও কোনও হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই তাঁর। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। তাৎক্ষণিক তিন তালাক মামলার বেঞ্চে অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ওই মামলায় তিন তালাক প্রথাকে সংবিধান-বিরোধী তকমা দেওয়ায় বিরোধীতা করেছিলেন তিনি। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.