আজ হজরত মহম্মদের আবির্ভাব দিবস, এক ঝলকে দেখুন পৃথিবীর সমস্ত মিউজিয়ামে রাখা তাঁর ছবি


Odd বাংলা ডেস্ক: মুসলিমদের মধ্যে একটি প্রচলিত ভুল ধারণা হচ্ছে, ইসলামের ইতিহাসে মুহাম্মদের ছবি কখনই আঁকা হয় নি, এবং এই বিষয়ে সবসময়ই কঠিন নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সত্য হচ্ছে, সবসময় এই নিষেধাজ্ঞা এত কঠিন ছিল না। ইসলামের নানান শাখাপ্রশাখার মানুষ যুগে যুগে মুহাম্মদের প্রতিকৃতি অঙ্কন করেছেন। মধ্যযুগের অসংখ্য মুসলিম শিল্পী প্রায়শই মোহাম্মদকে চিত্রিত করে অসংখ্য ছবি আঁকেন এবং পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন। 


মুহাম্মাদ (ডানদিকে) মক্কার নিকটবর্তী আরাফাতের ময়দানে দিচ্ছেন সেই বিখ্যাত বিদায়ী হজ্বের ভাষণ।
সংগ্রহ করা হয়েছে পারশ্যের প্রখ্যাত স্কলার আল বিরুনির মধ্যযুগীয় জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক পাণ্ডুলিপি  The Remaining Signs of Past Centuries থেকে। বর্তমানে এটি রয়েছে প্যারিসের বিবলিওথেক ন্যাশিওনালে মিউজিয়ামে। এটিকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর একটি পারশ্যের পাণ্ডুলিপি থেকে সংগ্রহ করা।
খুব সম্ভবত আল-বিরুনির বইটিরই একটি ভিন্ন সংস্করণ থেকে নেওয়া


এটি আলজেরিয়ার একটি রঙ্গিন পোস্টকার্ড। ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের সময় মোহাম্মাদকে কল্পনা করে তৈরি করা।


ভারতের উত্তরপ্রদেশ, লক্ষ্ণৌ থেকে প্রকাশ হওয়া একটি ছবি, যা বর্তমানে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার একটি আর্ট গ্যালারিতে সংরক্ষিত রয়েছে। ধারণা করা হয়, লক্ষ্ণৌতে যেসময়ে শিয়া মুসলিমদের প্রাধান্য ছিল, সেই সময়ে ছবিটি আঁকা হয়। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, মুহাম্মদ বুরাকে চড়ে আছে, এবং ছবিটির পোশাকে মুঘল আমলের ছাপ বেশ স্পষ্ট।
জিব্রাইল 

১৩০৭ সালে পারশ্য সাম্রাজ্যে রশিদ আল-দিন রচিত ‘জমি আল-তাওয়ারিখ’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। বর্তমানে ছবিটি স্কটল্যান্ডের
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে। ছবিটিতে হেরা পাহাড়ের গুহাতে মুহাম্মদের কাছে প্রথমবার জিব্রাইল ওহী নিয়ে এসেছে, সেটি দেখা যাচ্ছে।
কিশোর মুহাম্মদ 

১৩০৭ সালে পারশ্য সাম্রাজ্যে রশিদ আল-দিন রচিত ‘জমি আল-তাওয়ারিখ’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। কিশোর মুহাম্মদকে ধর্মযাজক বাহিরা নবী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার ছবি।
হাজরে আসওয়াদ পাথর 

১৩০৭ সালে পারশ্য সাম্রাজ্যে রশিদ আল-দিন রচিত ‘জমি আল-তাওয়ারিখ’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। কিশোর মুহাম্মদ হাজরে আসওয়াদ পাথর নিয়ে মক্কায় যেই গণ্ডগোল হয়েছিল, তার সমাধান করে সবার মনযোগ আকর্ষণ করেছিলেন।
মুহাম্মদের জন্ম 

১৩০৭ সালে পারশ্য সাম্রাজ্যে রশিদ আল-দিন রচিত ‘জমি আল-তাওয়ারিখ’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। বর্তমানে ছবিটি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে। ছবিটিতে মুহাম্মদের জন্ম দেখানো হচ্ছে।


ছবিটিতে মেরাজের ঘটনা চিত্রিত করা হয়েছে।
১৩০৭ সালে পারশ্য সাম্রাজ্যে রশিদ আল-দিন রচিত ‘জমি আল-তাওয়ারিখ’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। বর্তমানে ছবিটি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে।


মোহাম্মদ (ডানদিকে) এবং আবু বকর মদিনা হিজরতের সময় একজন মহিলা ছাগলদের দুধ দোয়াচ্ছেন।
১৩০৭ সালে পারশ্য সাম্রাজ্যে রশিদ আল-দিন রচিত ‘জমি আল-তাওয়ারিখ’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। বর্তমানে ছবিটি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে।


কায়ামতের দিন। ১৯ শতকের শেষের দিকে ছবিটি সম্ভবত আঁকা হয়েছিল।

১৫১৪ সালের উজবেকিস্তানের বুখারা নগরীতে আঁকা একটি ছবি।


Majmac al-tawarikh গ্রন্থ থেকে ।
সম্ভবত ১৪২৫ খ্রিস্টাব্দের পাওয়া গেছে আফগানিস্তানের হেরাত নগরী থেকে।


মুহাম্মদের শেষ নামাজ। মধ্যযুগের শেষ দিকে আঁকা। পারশ্য সাম্রাজ্যের।

এই ছবিটির সময়কাল জানা যায় নি।




তুরষ্কের আলেভি সম্প্রদায়ের আঁকা একটি মুহাম্মদের প্রতিকৃতি
Blogger দ্বারা পরিচালিত.