ট্রাক ড্রাইভারদের দেহের চাহিদা মেটাচ্ছে পাকিস্তানের নাবালক ছেলেরা



Odd বাংলা ডেস্ক: পাকিস্তানের খাইবার এলাকাতে পথশিশুদের ওপর বেড়েই চলেছে শারীরিক নির্যাতন। নিজেদের দেহের খিদে মেটানোর জন্য লরি ও ট্রাক চালোকরা নির্যাতন করছে তাদের।  মুসলিম প্রধান দেশ হওয়াই পাকিস্তানের নারীরা বোর্খা পরেই থাকেন। কিন্তু সেই কোপ এসে পড়ছে সেখানকার শিশুদের ওপর। যার ফলে প্রতি নিয়ত তাদের শারীরিক অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে।

কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে কয়েকশ' শিশু। তাদের জিম্মি করে অশ্লীল ভিডিওচিত্র তৈরি করে পরিবারের কাছ থেকে অর্থ দাবি করত একটি চক্র। একজন নারী জানান, অন্তত পাঁচ বছর ধরে তার ছেলেকে এভাবে হয়রানি করা হয়েছে। একই সময়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করেছে চক্রটি। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, ৪০০ থেকে ৫০০ শিশু তাদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মীদের ধারণা, যৌন নিপীড়িত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।

আরও পড়ুন: পপ মিউজিকের সম্রাট মাইকেল জ্যাকশন আসলে একজন পেডোফিলিয়াক ছিলেন, শিশুদের যৌন নিগ্রহ করতেন তিনি

কিন্তু ইসলামে তো সমকাম নিষিদ্ধ। তাহলে এটাই বা কী করে করছে এই ট্রাক ড্রাইভারেরা। এবং আইনত ভাবে শাস্তি যোগ্য হয়েও তাদের অত্যাচারের শিকার হচ্ছে শিশুরা। সম্প্রতি আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম (VICE) তাদের নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করে। এবং সেই তথ্যচিত্র ছিল চমকে দেওয়ার মতো। সাংঘাতিক সেই ছবি। যেখানে বছর ১৩-এর জব্বার বলছে "৮ বছর বয়সে আমি প্রথম এক ট্রাক চালকের সঙ্গে মিলিত হয়। সে আমাকে উলঙ্গ করে আমার গায়ে আঘাতও করত।" শুধু যে জব্বার তা নয়। এমন বহু নাবালক শিশুর গায়ে লাগছে আঘাত।
সাড়ে আট বছর বয়সে প্রথম এক ট্রাক ড্রাইভারের সঙ্গে বিছানাতে গিয়েছিল নাইম, Image Source: VICE


সোরাব খান জাতিগত দিক থেকে একজন পাঠান। সে একজন বাস চালক। সে যা বললো তা আরও চমকে দেওয়ার মতো। তার মতে পাকিস্তানে খোলা রাস্তায় পতিতা পাওয়া খুব কষ্টের। বড়ো শহর ছাড়া পতিতা বৃত্তি অন্য জায়গাতে হয় না। কিন্তু ড্রাইভাররা তো মাসের পর মাস বাড়ির বাইরে থাকে। তাহলে তাদের তো প্রয়োজন যৌনতার। আর সেই কারনেই নাকি তাদের এইভাবে ছোট্ট ছেলেদের দিয়ে শারীরিক চাহিদা মেটানোর ইচ্ছা।

আরেক ট্রাক চালক বলছে ছেলেগুলো রাস্তার আশেপাশেই খেলা করে। তাদের টাকার লোভ দেখিয়ে আমরা এগুলো করতে বলি। তারাও রাজি হয়ে যায় আমাদের কথাতে । ফলে আমরা সহজেই ওদের দেহটা ভোগ করার জন্য পেয়ে যায়। কিন্তু আমরা ওদের এটাও বলি যাতে আমাদের সঙ্গে এগুলো করার পর ওরা কাউকে কিছু না বলে।
"কম বয়সি ছেলেরা রাস্তায় সহজেই মিলে যায়, তাদের কিছু টাকা দিতে হয়" বলছে পাকিস্তানের ট্রাক ড্রাইভার জাভেদ, Image Source: Vice


বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্যকথা। তাদের মতে পাকিস্তানে ছেলেদের ওপর পুরুষদের এই যৌন লোভের কারন আসলে সেখানকার পর্দা প্রথা। নারীদের খুব কমই দেখা যায় খোলা রাস্তাতে। এবং একজন নারীকে পেতে গেলে তাকে বিয়ে করাটা আবশ্যক। ফলে একজন নাবালক ছেলেকে খুব সহজেই পাওয়া যায় পাকিস্তানের খাইবার এলাকাতে। ফলে তারা শিকার হচ্ছে এই ধরনের কর্মকান্ডের।  বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে সমকাম মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে পাকিস্তানে। যার ফল সমাজ জীবনেও পরিলক্ষিত হচ্ছে।

পেশওয়ারের রাস্তায় নারীদের দেখা মেলে না, কারন সেখানে পর্দা প্রথা রয়েছে চরম পর্যায়ে, Image Source: VICE
 কিন্তু এই তথ্যচিত্রে এটাও খুঁজে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে যে এই নাবালকেরা নিজেদের দেহ এভাবে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছে কেন। স্থানিয় সমাজ গবেষক ফরমান আলি বলছেন এই ছেলেগুলির বেশিরভাগ কম বয়সে ড্রাগ অ্যাডিক্ট হয়ে পড়ছে। আর তারা এভাবে সহজে অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে বের করছে। যা সত্যিই খুব লজ্জার। হতো প্রথমবার তারা তাদের অনিচ্ছাতে এই ট্রাক ড্রাইভারদের শিকার হচ্ছে। কিন্তু তারপর ধীরে ধীরে তারা এটাকে নিজেদের উপার্জনের পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছে।
এই ছেলেগুলিকে এখন একটি হোমে এনে রাখা হয়েছে, এরা প্রত্যেকেই শারীরিক শোষনের শিকার, Image Source: Vice


তথ্য গ্রহন: PAKISTAN'S HIDDEN SHAME (VICE)
Blogger দ্বারা পরিচালিত.