যে পৌরানিক চরিত্র নিজের পুত্রবধূর সঙ্গেই যৌনসঙ্গম করতে চেয়েছিল


Odd বাংলা ডেস্ক: পাতাল জয় করে রাবণ সৈন্য সামন্ত নিয়ে আবার কৈলাশ পর্বতে এলেন। সেখানে অবস্থান কালে রাত্রি দ্বিপ্রহরে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। চোখ মেলে তাকিয়ে তিনি বিস্মিত হয়ে দেখলেন সমগ্র আকাশ পূর্ণিমার চাঁদের মতো ঝলমল করছে। আকাশ জুড়ে রূপের বন্যা বইয়ে উড়ে চলেছেন পরম সুন্দরী অপ্সরা রম্ভা। কামার্ত রাবন বল পূর্বক তাকে আকাশ থেকে টেনে নামালেন। জোর করে রম্ভার হাত ধরতে গেলে লজ্জায় মাথা নত করে তিনি বললেন, হে রাক্ষস রাজ, দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন। আপনি সম্পর্কে আমার শশুর। বিস্মিত রাবন বললেন, তুমি আমার কোন পুত্রের স্ত্রী? রম্ভা বললেন, আমি আপনার বৈমাত্রেয় ভাই কুবেরের পুত্র নলকুবেরের ধর্মপত্নী। শাস্ত্রমতে ভ্রাতুষ্পুত্রের স্ত্রী নিজের কন্যার সমতুল্য। আমার হাত ছাড়ুন আমি আপনার ভাইপোর কাছে যাই। তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করে তিনি ব্রহ্মতেজ প্রাপ্ত হয়েছেন। আমার অসম্মান হলে তার ফল ভালো হবে না। রাবণ বললেন, আমি এখন কামাসক্ত। আমাকে শাস্ত্রবাণী শুনিয়ে লাভ নেই। তাছাড়া দেবরাজ ইন্দ্র গুরুপত্নী গমন করেছিলেন। চন্দ্রদেবের চরিত্রও একই দোষে দুষ্ট। এই বলে তিনি রম্ভাকে জোরপূর্বক নিজের কক্ষে নিয়ে গেলেন।


রম্ভার কাতর প্রার্থনা ও করুন ক্রন্দন নিষ্ঠুর রাবণের মন গলাতে পারলনা। সাতদিন পর রম্ভা রাবণের হাত থেকে ছাড়া পেলেন। বিধ্বস্ত ও আলুলায়িত কেশে তিনি নলকুবরের কাছে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সব ঘটনা বর্ণনা করলেন। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে নলকুবর কমন্ডুলু থেকে পবিত্র জল নিয়ে বললেন, আমি অভিশাপ দিচ্ছি আজকের পর থেকে আর কোনদিন রাবন যদি জোরপূর্বক কোনো সতী নারীর চরিত্র হননের চেষ্টা করে তবে সেই মুহূর্তেই তার মৃত্যু হবে। নলকুবরের এই অভিশাপের কারণেই রাবণ সীতাকে হাতের মুঠোয় পেয়েও তার সতীত্ব নষ্ট করতে পারেনি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.