অতীত প্রেমের বিষয়ে কি স্বামী বা স্ত্রীকে জানানো উচিৎ?


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটা বয়সের পর একজন সঙ্গী থাকা খুব একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। কিন্তু একথাও ঠিক যে সেই সম্পর্ক কোন কোন ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হয়, আবার কোন ক্ষেত্রে তা ভেঙেও যায়। অনেক সম্পর্ক অনেক দূর পর্যন্তও এগিয়ে যায়। তাতে কোন সমস্যা নেই, সমস্যা হল অন্য জায়গায়। সমস্যা হয় জীবনের ভবিষ্যতে।


একটা সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পর অনেকে অন্য কাউকে বিয়ে করে, আবার কেউ পরিবারের পছন্দ করা পাত্র/ পাত্রীকে বিয়ে করে নেয়। তখন তাদের মনে একটা দ্বিধা চলে যে বর্তমান পার্টনারকে তার অতীত সম্পর্কের কথা বলবে কিনা। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো অবশ্যই অতীতের কথা জানিয়ে রাখা উচিৎ। কিন্তু তার জন্য কিছু কথা মাথায় রাখা দরকার।


১। অতীত থাকা স্বাভাবিক ঃ- আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যদি আপনার অতীত থাকে তাহলে আপনার সঙ্গীর অতীত থাকাও স্বাভাবিক। আপনি নিজের অতীত তার সঙ্গে শেয়ার করার আগে এটা মাথায় রাখতে হবে যে তারও কিছু অতীত থাকতে পারে। তার অতীত মেনে নেওয়ার মতো প্রস্তুতি নিয়েই এগোনো ভালো।


২। শারীরিক সম্পর্কে পছন্দ ও অপছন্দ ঃ- অতীত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করার আর একটি সুবিধা হল একে অপরের পছন্দ অপছন্দ, এমনকি শারীরিক বিষয়ে পছন্দ অপছন্দও জেনে নেওয়া যায়। আর দাম্পত্য জীবনের সুখের অন্যতম একটি চাবিকাঠি হল শারীরিক সম্পর্ক।


৩। বিশ্বাস গড়তে সাহায্য করবে ঃ- বিয়ের আগে বা বিয়ে হওয়ার পর যদি আপনি নিজে থেকেই আপনার সঙ্গীর সাথে অতীত জীবনের কিছু গল্প করেন তাহলে তার মনে আপনার জন্য একটা আলাদা বিশ্বাস তৈরি হবে। সে মনে মনে ভাববে আপনি তার কাছে কিছুই লুকিয়ে রাখেন না। আপনার সততার প্রমান সে পাবে।


৪। হবু সঙ্গীর অনুভুতি ঃ- আপনি আপনার অতীতের কথা তাকে জানানোর পর যদি সে তা সহজভাবে মেনে নেয় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে একজন স্বাধীনচেতা ব্যাক্তি। অতীত থাকা স্বাভাবিক – এইকথা মেনে নিয়ে সে আপনাকে গ্রহন করে নিতে ইচ্ছুক। এতে আপনি বুঝে নিন আপনার সঙ্গী ভীষণ ভালো একজন মানুষ।


৫। অস্বাভাবিক আচরণ ঃ- আপনি নিজের অতীত সম্পর্কে জানানোর পর আপনার সঙ্গী যদি তা সহজে মেনে নিতে না পারে, যদি আপনার ওপর অদ্ভুত ও খারাপ ব্যবহার করে তাহলে আপনার সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.