মিলনের সময় পুরুষ সঙ্গীর কর্তব্য, যা অনেকেই জানেন না


Odd বাংলা ডেস্ক: যৌন মিলনের সময় পুরুষদের বিশেষ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের সমাজের পুরষদের দেখা যায়, তাদের স্ত্রীর মন মাননিকতার দিকেও পর্যন্ত নজর দেন না। অন্যসব বিষয় তো দুরে থাক। অথচ সহবাস বা যৌন মিলন একার কোন বিষয় নয়। এখানে দু’জনকেই সমান মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। আসুন জেনে নেই মিলনের আগে পুরুষ সেক্স পার্টনারের কিছু কর্তব্য সম্পর্কে  –

পুরুষ সেক্স পার্টনারের কর্তব্য হলো নারী সেক্স পার্টনারকে প্রিয়তমা জ্ঞানে বা সত্যিকারের কামনার নারী ভেবে নিয়ে নিজের তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তারও দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তি বিধান করা। নিজের কামনা পরিতৃপ্ত করাই সম্ভোগের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
কোন প্রকার বল প্রয়োগ করা আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়। একথা মনে রাখতেই হবে।
চুম্বন, আলিঙ্গন, ঘর্ষন, নিপীড়ন ইত্যাদি নানাভাবে নারী সেক্স পার্টনারের মনে পূর্ণ কামভাব জাগিয়ে তারপর তার সঙ্গে সহবাসে রত হওয়া প্রতিটি পুরুষের প্রধান কর্তব্য।
নারী সেক্স পার্টনার ধীরে ধীরে আত্নসমর্পণ না করা পর্যন্ত তার সঙ্গে কখনও সঙ্গম বা সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।
নারী কখনও নিজের যৌন উত্তেজনাকে মুখে প্রকাশ করে না। তবে সেটা অনেকটা লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হয়।
নারীর উত্তেজনা ধীরে ধীরে আসে-আবার তা ধীরে ধীরে তৃপ্ত হয়। পুরুষের উত্তেজনা আসে অকস্মাৎ আবার তা অকস্মাৎ শেষ হয়। তাই নারীর পূর্ণ কামভাব না জাগিয়ে সহবাস বা সঙ্গমে মিলিত হলে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পেতে পারে না। এরকম করা যৌননীতি বিরুদ্ধ। এতে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পায় না-এর জন্যে সে অন্য পুরুষ পর্যন্ত গমন করতে পারে। দাম্পত্য জীবনে অনেক বিপর্যয় এর জন্যে আসতে পারে।

একেবারে দর্শন মাত্রেই রতিক্রিয়া আরম্ভ করা উচিত নয়। তাতে নারীর কামেচ্ছা তেমন জাগ্রত হয় না। কাজেই উভয়ের পক্ষে রতিক্রিয়া তেমন আনন্দদায়ক হয় না।

ক্রুদ্ধ বা চিন্তিত মেজাজে স্ত্রী সহবাস উচিত নয়। মেজাজ প্রফুল্র না হলে সময় নেয়া প্রয়োজন। ততোক্ষন পর্যন্ত পুরুষকে অপেক্ষা করে প্রেম-ভালোবাসার ভাব ফুটিয়ে তোলাই কর্তব্য।

সঙ্গম বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার আগে নারীর শরীরে প্রকৃত বা আসল উত্তেজনা এসেছে কীনা তাও বোঝা প্রয়োজন, প্রকৃত বা আসল উত্তেজনা না এলে সঙ্গম বা সহবাসে নারীর পূর্ণ তৃপ্তি আসতে পারেনা।



পুরুষ রতি ক্রিয়ার প্রথমে যথেষ্ট উত্তেজিত হয়। কিন্তু একবার বীর্যপাত ঘটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আবার রতিক্রিয়ায় পুরুষের আর পূর্বের মত উত্তেজনা থাকে না। নারীর উত্তেজনা কিন্তু ভিন্ন প্রকারের। প্রথম রতিক্রিয়ায় সে বিশেষ আগ্রহ দেখায় না। কিন্তু যখন রতিক্রিয়া কিছুক্ষন চলে তখন ক্রমশঃ তার আগ্রহ বাড়তে থাকে। পরে পুরুষের বীর্য্যপাত ঘটলেও নারীর রতিক্রিয়ার আগ্রহ ক্রমশঃ বাড়তে থাকে।

এইজন্য নারীর সাথে রতিক্রিয়া আরম্ভ করতে হলে একেবারেই প্রথম থেকেই রতিক্রিয়া করা উচিত নয়। প্রথমে নারীর সঙ্গে কথাবার্তা বলা দরকার, তারপর তাকে চুম্বন, দংশন, নখচ্ছেদ ও আলিঙ্গন ইত্যাদি প্রাথমিক ক্রিয়া করা উচিত। এ সকল প্রাথমিক রসালাপ অঙ্গ-মর্দন, অধর, চুম্বন ইত্যাদিতে যখন নারীর কামেচ্ছা প্রবল থেকে প্রবলতর হবে তখন সঙ্গমের জন্য প্রস্থত হওয়া দরকার।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.