Odd বাংলা ডেস্ক: ১৯৮২ সালে একবার এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের জন্য ভগবানজির (গুমনামি বাবার আরেক নাম) মুখের দিকে তাকিয়েছিলেন সুরজিৎ দাশগুপ্ত। সেই মুহূর্তটা আজও তার স্মৃতিতে চির অম্লান হয়ে আছে। নিজের জীবনের সেই মহা-গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তটার কথা তিনি স্মরণ করেন এভাবে,
"অন্য আর সবদিনের মতো সেদিনও তিনি আমার সামনে বসে ছিলেন। হঠাৎ করেই আমার মনে তীব্র ইচ্ছা জাগল তাকে দেখার। আমি চুরি করে এক পলক তার দিকে চাইলাম। কিন্তু তার ভেতর থেকে উৎসারিত আভায় আমি এতটাই বিমোহিত হয়ে পড়লাম যে, সঙ্গে সঙ্গে চোখ নামিয়ে ফেলতে বাধ্য হলাম। ওই এক মুহূর্তের দর্শন আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না।"
কিন্তু সিনেমা বা পত্র-পত্রিকা যেখানেই দেখা গিয়েছে গুননামি বাবা আসলে নেতাজি ছিলেন কিনা সেই তর্কই হয়ে উঠেছে প্রবল। কিন্তু সেটা যদি দূরে সরিয়ে রাখা যায়, তাহলে অন্তত আমাদের একবার দেখা উচিত নেতাজির শেষকৃত্য আসলে কীভাবে হয়েছিল।
১৯৮৫ সালের ১৬ ই সেপটেম্বর গুমনামি বাবার মৃত্যুর পর ফৈজাবাদের সিংহ পরিবার যোগাযোগ করেছিল বোস পরিবারের সদস্যদের সাথে। নেতাজির ভাইজী অর্থাৎ নেতাজীর দাদা সুরেশ চন্দ্র বসুর কন্যা ললিতা বসু ১৯৮৬ সালের প্রথম দিকে যান ফৈজাবাদের রাম ভবনের সেই ৩০০ স্কোয়ার ফুটের ছোট্ট ঘরটিতে। সেখানে গিয়ে ঘরের ভিতরে থাকা গুমনামি বাবা বা ভগবানজীর ব্যবহৃত সামগ্রী দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে ছিলেন। সমস্ত জিনিসপত্র দেখে তিনি বলেছিলেন এসব আমার রাঙ্গা কাকুর অর্থাৎ নেতাজির।
|
গুমনামি বাবার মৃতদেহের ক্লোজ শটে ছবি
|
|
গুমনামি বাবার শেষকৃত্য যিনি করেছিলেন সেই বুধিবল্লভ পেনোলি চিতা সাজাচ্ছেন
|
|
সেই মিশ্র পরিবারের সদস্যরা আছেন বাবার মরদেহের সঙ্গে, যাঁরা তাঁকে দেখাশোনা করতেন |
|
ঋষিকেশের ঘাটে হাজির কর্নেল প্রীতম সিং, যিনি তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনার আগে শেষবার নেতাজিকে দেখেছিলেন |
|
চিতার ওপর শোয়ানো গুমনামি বাবার মরদেহ |
Post a Comment